Wednesday, November 14

শিগগিরই �শিশু আইন ১৯৭৪�কে যুগোপযোগী করা হবে : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, শিগগিরই শিশু অধিকার সুরক্ষা এবং সমাজে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে �শিশু আইন ১৯৭৪�কে সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হবে।

দারিদ্রের কারণে আমাদের দেশের শিশুরা পরিবারে ও সমাজে যেসব হয়রানির শিকার হয়ে থাকে তার মধ্যে যৌন হয়রানি অন্যতম। কারণ শিশুরা নিজেদের রক্ষা করতে পারে না। তাই তাদের জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত যৌন হয়রানি থেকে শিশুদের রক্ষা ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত এক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

�শিশু আইন ১৯৭৪� সংশোধন সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত �যৌন নির্যাতন ও হয়রানি থেকে বাংলাদেশের শিশুদের রক্ষা ও পূনর্বাসন জোরদার করণ� শীর্ষক এ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন-বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ডেলিগেশনের প্রধান উইলিয়াম হানা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাসিমা বেগম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব তারিক-উল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী এবং বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল ম্যাকগ্রা।

সেভ দ্য চিলড্রেন-এর চাইল্ড প্রোটেকশন বিভাগের পরিচালক নায়োমি কানানগারা অনুষ্ঠানে বিস্তারিত প্রকল্প উপস্থাপন করেন।

ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনে জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। আমরা যদি তাদের উপযুক্ত পরিবেশ দিতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যত জাতি গঠনে সংকট সৃষ্টি হবে। তাই বর্তমান সরকার শিশুর বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য যা যা দরকার তাই করবে।

সমাজে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনমন্ত্রী সুশীল সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজপতি, স্থানীয় নেতৃত্বসহ সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতন ও হয়রানি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৬টি জেলায় তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

যেসব শিশু ইতিমধ্যেই যৌন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছে তাদেরকেও এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার এই প্রকল্পের আওতায় ১৬ টি জেলার ১২৯ টি সম্প্রদায়ের ৪০ হাজার শিশু ও ৪০ হাজার অভিভাবক সহায়তা পাবে।

সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স ও ইনসিডিন বাংলাদেশ যৌথভাবে মাঠ পর্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তাবায়ন করবে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে ২০০ টি এনজিও, ২০০ সরকারি কর্মকর্তা এবং পাঁচটি মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পে কাজ করবে।ফেয়ার নিউজ




শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়