Friday, September 7

কানাইঘাটে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত

আভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। এক ছাত্রলীগ নেতার উপর প্রতিপ গ্র“পের ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সিলেট টিলাগড় গ্র“প সমর্থিত গিয়াস উদ্দিন এবং সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তালতলাস্থ গ্র“প সমর্থিত নাজমুল ইসলাম হারুন সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আধিপত্য নিয়ে পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে গত বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত দু’গ্র“পের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র নিয়ে কানাইঘাট বাজারে মহড়া দেয়। ঐ দিন পুলিশের তৎপরতায় কোন ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও পরদিন বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ এড়াতে কানাইঘাট বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে এ দু’গ্র“পের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাজারে মহড়া ও মিছিলের প্রস্তুতি নিলে থানার ওসি রফিকুল হুসাইনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাজারের ত্রিমোহনী পয়েন্টে অবস্থান নেয়। টিলাগড় গ্র“প সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাজারের নোয়াম সেন্টারে এবং তালতলাস্থ গ্র“পের নেতাকর্মীরা দণি বাজারে সশস্ত্র অবস্থান গ্রহণ করে। উভয় গ্র“প পাল্টাপাল্টি হামলার প্রস্তুতি নিলে পুরো বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ভীতস্ত্র হয়ে দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে গিয়ে ৪ জন পথচারী আহত হন। উভয় গ্র“পের মধ্যে সংঘাত এড়াতে এসময় আ’লীগনেতা জালাল আহমদ, পৌর আ’লীগের আহবায়ক জামাল উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ, খলিলুর রহমান, নছির আহমদ, আ’লীগ নেতা নজির উদ্দিন প্রধানকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা গেলেও কোন সিনিয়র দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের তৎপরতা ল্য করা যায়নি। রাত ১২টা পর্যন্ত দু’গ্র“পের নেতাকর্মীরা বাজারে অবস্থান করলেও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্র“পের মধ্যে এ উত্তেজনা একে অপরকে দায়ী করছে। ছাত্রলীগের এ আভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে শীঘ্রই আ’লীগের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়