Monday, September 10

দূর্নীতির অভিযোগে কানাইঘাট পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এক কর্মকর্তাসহ দুই লাইনম্যান সাময়িক বরখাস্ত

অনিয়ম দূর্নীতি ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায়ে কানাইঘাট পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিস-২ এর জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবু নাসের মোহাম্মদ দলিল আহমদ, লাইনম্যান সাধন কুমার দাসকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কানাইঘাট পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কিছু লাইনম্যান ও অসাধু কর্মকর্তারা অফিসের অগোচরে বিভিন্ন এলাকায় তাদের মনোনিত দালাল এবং নন ইলেক্টশিয়ান দ্বারা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ, মিটার প্রদানসহ বিদ্যুৎ সংযোগ অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকায় অভিযোগ রয়েছে। তিপয় লাইনম্যান ও দূর্নীতিবাজ পদ পদবীর কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে তাদের মনোনিত দালালদের মধ্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেন। অভিযোগ রয়েছে ওয়্যারিং পরিদর্শককে বড় অংকের টাকা দিলে দ্রুত নতুন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পরিদর্শনের কাজ করে দেন। টাকা না দিলে অনেক েেত্র নতুন গ্রাহকদের ফাইল গায়েব করা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। সম্প্রতি উপজেলার আগতালুক গ্রামে দু’টি বাড়ীতে দু’জন নন ইলেক্ট্রিশিয়ান এ জি এম কম এর সাথে আতাত করে লাইন টেনে বিদ্যুৎ সংযোগের চেষ্টা করলে বিষয়টি কতৃপরে নজরে পড়লে তাৎনিক ভাবে কানাইঘাট জোনাল অফিসের এ.জি.এম কমকে দায়িত্ব ভার দেওয়া হয়। তিনি অজ্ঞাতকারণে তদন্ত দীর্ঘ বিলম্বিত করায় এ সুযোগে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের সাথে জড়িতরা অবৈধ লাইন খুলে ফেলে। বিষয়টি এজিএম কম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রথমে চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তদন্তে অবৈধ সংযোগের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরও অদ্যাবধি পর্যন্ত জড়িতদের চিহ্নিত না করে এ.জি.এম কম মনগড়া তদন্ত রিপোর্টের মাধ্যমে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগকারীদের রেহাই দ্ওেয়ার চেষ্টা চালান বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানাগেছে। এ ছাড়া বাণীগ্রামের দুটি বাড়িতে অবৈধ মিটার সংযোগের সাথে ২/৩ জন লাইনম্যান জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের বারান্দায় রতি বৈধ ইলেকট্রিশিয়ানদের ছবিযুক্ত সাইনবোর্ড দালাল, বাটপার ও নন ইলেকট্রিশিয়ানরা তাদের সুবিধার জন্য বহুদিন পূর্বে ছিড়ে ফেলার পরও বৈধ ইলেকট্রিয়ানদের সাইনবোর্ড পুনঃ স্থাপন না করায় বিভিন্ন এলাকায় নন ইলেকট্রিশিয়ানরা বৈধ ইলেকট্রিশিয়ান পরিচয় দিয়ে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কানাইঘাট জোনাল অফিসের ডি জি এম তাজুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগতালুক গ্রামের দুটি বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের সাথে প্রাথমিক তদন্তে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপরে নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি সরজমিনে বিষয়টি তদন্ত করবেন বলে তিনি জানান। নন ইলেকট্রিশিয়ানদের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অফিসের বৈধ ইলেকট্রিশিয়ানরা রয়েছেন। অবৈধ কোন ইলেকট্রিশিয়ান দালালদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কোন লেনদেন না করার জন্য তিনি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কেউ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য টাকা চাইলে বিষয়টি তাকে অবহিত করতে বলেন। তিনি আরও জানান, আমরা বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কোন অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। ইতিমধ্যে অনিয়ম-দুর্নীতি ও দায়িত্বপালনে অবহেলার জন্য সদর দপত্বরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবু নাসের মোহাম্মদ দলিল আহমদ ও লাইনম্যান সাধন কুমার দাসকে চাকুরী থেকে সাময়িক বাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন পল্লীবিদ্যুৎ অফিসকে দালালমুক্ত, বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হয়রানী বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপরে হস্তপে কামনা করেছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়