
জানা গেছে, কলাপাড়া-কুয়াকাটাড়গামী ২২ কিলোমিটার মহাসড়কের তিনটি নদীতে তিনটি ব্রিজের নির্মাণ কাজের উদ্যোগ নেয় মহাজোট সরকার। ২০০৯ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। যার কার্যাদেশ দেয়া হয় একই বছরের ৬ অক্টোবর। মহাসড়কের ৬৬তম অংশে শিববাড়িয়া নদীর উপরে শেখ রাসেল সেতুর নির্মাণ কাজ আগে শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে শেখ রাসেল সেতুসহ একই সড়কের মোট তিনটি সেতুর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। চার শ� আট দশমিক ৩৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটির দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক রয়েছে ৪০০ মিটার। নির্মাণ ব্যয় বরাদ্দ রয়েছে ২৪ কোটি ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। যৌথভাবে টিএসএল-আরইবি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সেতুটির কাজ করে আসছে। নয়টি স্প্যানের উপরে ফুটপাতসহ ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থ সেতুটির নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই ছিল খুবই ধীরগতি। সওজের তথ্যমতে, মাত্র ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সেতু নির্মাণস্থলে গিয়ে দেখা গেছে কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এব্যাপারে কাজের তদারকিতে নিয়োজিত প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির পান্না জানান, ঠিকাদার শীঘ্রই নদীর মধ্যে গার্ডারের কাজ শুরু করবে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি আনা হয়েছে। আর আলীপুর অংশের অধিগ্রহণ জটিলতা শেষ করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী কমলেন্দু মজুমদার জানান, ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যাটি শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া একটি পিয়ারের কাজ স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে বন্ধ ছিল সেটিও সমাধান হয়ে যাচ্ছে। ঠিকাদার দুই একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করছে। এনিয়ে কোন শঙ্কা নেই। তবে সরকারি দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা মনে করছেন সরকারি কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও ঠিকাদারের খামখেয়ালীপনায় সেতুটির নির্মাণকাজে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। নইলে এখন সেতুটির উদ্বোধন করা যেত। আর একারণে সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার অভিযোগ করলেন এসব কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। তারা সেতুটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে যোগাযোগ মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। খবর:-ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়