কোনো গ্রিক রূপকথা নয় জয় হলো জার্মানির আক্রমণ ফুটবলের। ইউরো কাপে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে গ্রিসকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ফিলিপ লামের জার্মানি।আগামী ২৬ জুন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ড ও ইতালির মধ্যকার বিজয়ী দলের বিপক্ষে লড়বে তারা।বাছাইপর্ব বা গ্রুপ পর্বের পৌঁছানোর লড়াই নয় লড়াইটি ছিল শেষ চারে উঠার। যেখানে গ্রিসকে হয়তো হালকাভাবেই নিয়েছে জোয়াকিম লো। কারণ আশ্চর্য হলেও লাইন আপে নেই মারিও গোমেজ, থমাস মুলার ও লুকাস পুডলস্কির মতো নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। মূল স্ট্রাইকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন ক্লোসা।এদিকে ছিল চমৎকার বোঝাপড়ার মাধ্যমে আক্রমণাত্বক জার্মান ক্লাসিক আর আরেক দিকে রক্ষণাত্বক গ্রিস। তারপরও বরাবরই গ্রিস শিবিরে আঘাত চালিয়ে যায় জোয়াকিম লোর শিষ্যরা।গ্রিসের রক্ষণের বেষ্টনি ভেঙ্গে ৩৯ মিনিটে মেসুত অজিলের পাসে জার্মানিকে লিড এনে দেন অধিনায়ক ফিলিপ লাম। ডি বক্সের বাইরে থেকে লামের জোড়ালো শট রুখতে পারেননি গ্রিক গোলরক্ষক সিফাকিস।দ্বিতীয়ার্ধে গ্রিস যোদ্ধাদের কানে হয়তো জয়মন্ত্র যপে দিয়েছিলেন কোচ ফার্ন্যান্দো সান্তোস। কারণ ৫৬ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দলকে সমতায় ফেরান সামারস। তাকে সহযোগিতা করেন ডিমিট্রিস সালপিংগিডিস।গ্রিসের কাছে জার্মানির আটকে থাকাটা ছিল বেমানান। ঠিক ৬ মিনিট পর খেলায় নিজেদের আধিপত্য ফিরিয়ে আনেন সামি খাদিরা। জেরোমি বোয়েটাংয়ের পাসে গ্রিসের জালে বল জড়ান এ মিডফিল্ডার।ইউরো ২০১২-এর বর্তমান টপ স্কোরার মারিও গোমেজকে ফেলে ক্লোসাকে জোয়াকিম লো কেন দলে ভিরিয়েছিলেন তার জবাব মিললো ৬৭ মিনিটে। মেসুত অজিলের নেয়া ফ্রি কিক থেকে সহজ হেডে গ্রিস জালে বল জড়ান তিনি। এটি ছিল তার ৬৪তম আন্তর্জাতিক গোল।বারবার অ্যাটাক করেও গোলের দেখা পাননি রুস। ৭৪ মিনিটে মেসুত অজিলের পাসে ক্লোসার অ্যাটাক ভেস্তে দেয় সিফাকিস। তবে ফিরতি বল জালে জড়াতে এবার আর ভুল করেননি তিনি। ৪-১ গোলে লিড নেয় জার্মানরা।খেলার শেষ দিক ডি বক্সের ভেতর বোয়েটাংয়ের হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। আর সেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান সালপিংগিডিস।সূত্র:-ফেয়ার নিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়