বরিশাল বার্নার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা জিতলো ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। এর আগে বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪০ রান করে বরিশাল বার্নার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঢাকা।জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খেলার দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ১৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান নাজিমুদ্দিন। সোহরাওয়ার্দী শুভর বলে তাকে তালুবন্দি করেন মোমিনুল হক।এরপর আনামুল হককে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন ইমরান নাজির। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে গড়ে তোলেন ১১০ রানের শক্তিশালী জুটি। এর সুবাদে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসকে সহজ জয়ের ভিত রচনা করে দেন তারা। এ জুটির আগুনঝরা ব্যাটিংয়ের মুখে দাঁড়াতেই পারেনি বরিশাল বার্নার্সের বোলাররা।ম্যাচের ১৪.৪ ওভারে আলাউদ্দিন বাবুর শিকার হন ইমরান নাজির। আহমেদ শেহজাদের তালুবন্দি হওয়ার আগে ইমরান করেন ৭৫ রান। ৪৩ বল খরচ করে ছয়টি ৬ ও ছয়টি চারের সাহায্যে এ ইনিংসটি সাজান তিনি।টার্গেটের খুব কাছে গিয়ে ইমরান সাজঘরে ফিরে গেলেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন আনামুল। ৪৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩৮ বল খরচ করে ৫টি চার ও একটি ছক্কার সুবাদে এ ইনিংস গড়েন আনামুল।বরিশাল বার্নার্সের পক্ষে আলাউদ্দিন বাবু ও সোহরাওয়ার্দী শুভ একটি করে উইকেট নেন।এর আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বরিশাল বার্নার্স। একের পর এক বলকে সীমানাছাড়া করতে থাকেন আগের দিনে ৪০ বলে সেঞ্চুরি করা আহমেদ শেহজাদ।পরে ম্যাচের ৪.২ ওভারে শহীদ আফ্রিদির শিকার হন এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ২৮ রানের মাথায় সাঈদ আজমলের তালুবন্দি হন তিনি। মাত্র ২০ বল খরচ করে একটি ৬ ও ৪টি চারেরসাহায্যে ইনিংসটি গড়েন শেহজাদ।এরপর ক্রিজে থাকা ব্র্যাড হজের সঙ্গে যোগ দেন ফিল মুস্টার্ড। রানের চাকা সচল রাখতে তাকে সঙ্গে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন হজ। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুস্টার্ড।খেলার ৫.২ ওভারে ঝলসে উঠেন সাঈদ আজমল। তার ঘূর্ণিজাদুর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ফিল মুস্টার্ড (৫)। এর পরের বলেই মাত্র ১ রান করা মিঠুনকে ফিরিয়ে দেন সেই শহীদ আফ্রিদি।তাকে হারিয়ে কার্যতই বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল বার্নার্স। প্রাথমিক এ ধাক্কা সামাল দিতে মোমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে থাকেন ব্র্যাড হজ। গড়ে তোলেন ২৫ রানের চমৎকার এক জুটি।খেলার ১০ম ওভারে রানা নাভেদের শিকার হন মোমিনুল। ধিমান ঘোষের তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি করেন ১১ রান।এরপর আবারো ঝলসে উঠেন অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় ফরহাদ হোসেনকে থামিয়ে দেন তিনি।দলীয় ১০১ রানের মাথায় ইয়াসির আরাফাত (৫) ফিরে গেলে পথ হারিয়ে ফেলে বরিশাল। এরপর সেভাবে আর খেলায় ফিরতে পারেনি তারা। দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় ফিরে যানইয়াবির আলি (৬)।শেষ পর্যন্ত হজের হার না মানা ৭০ রানের সুবাদে ১৪০ রান করে বরিশাল বার্নার্স।ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের পক্ষে শহীদ আফ্রিদি ৩টি নাভেদ-উল-হাসান ২টি ও সাঈদ আজমল ১টি করে উইকেট নেন।ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইমরান নাজির। ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে সমান পারদর্শিতা দেখিয়ে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়