Sunday, February 5

কানাইঘাটে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন

মাহবুবুর রশিদ/কাওছার আহমেদ:

প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় কানাইঘাট উপজেলা সুরমা নদীর চরে এ বছর শীতকালীন শাক-সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। কার্যত শীতকালে সুরমা নদীর পানি শুকিয়ে জেগে উঠে বিশাল চর । খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর চরে শাক-সবজি চাষ করে সাবলম্বী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় কৃষকরা । উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,সুরমা নদীর প্রায় ২৫ কিলোমিটার চরে ৩ হাজার ছয়শত হেক্টর জমিতে এ বছর শাক-সবজি চাষ হয়েছে । উপজেলার ১,২,৪,ও ৬ নং সদর ইউনিয়নে শাক-সবজি বেশি উৎপন্ন হয়। । ১ নং পূর্ব ও ২ নং পশ্চিম লীপ্রসাদ ইউনিয়নের লোভারমুখ,মেছারচর,আন্দুরমুখ,৪ নং সাতবাঁক ইউনিয়নের পাত্রমাটি,চরিপাড়া,ছাপনগর,বায়মপুর,মূলাগোল,৬ নং কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের ডালাইচর,গোসাইনপুর,সুতারগ্রাম,সোনাপুরের চরে ও ৭ নং দণি বাণীগ্রাম ইউনিয়নের কায়স্তগ্রাম,বড়দেশ চরের গ্রামগুলোতে শীতকালীন সবজি উৎপন্ন হয়। এসব উৎপাদিত সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে মূলা,শিম,বাঁধাকপি,ওলকপি,টমেটো,লাইশাক,লাল শাক,শশা,ঝিংগা,লাউ,সরিষা,মরিচ,আলু,পিঁয়াজ,ফরাস,ইত্যাদি। সবজিগুলো উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ছাড়াও সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ,হবিগঞ্জ,মৌলভীবাজার,বিয়ানীবাজার,জকিগঞ্জ,কোম্পানীগঞ্জ,জৈন্তা,গোয়াইনঘাট,এলাকাসহ আরো কয়েকটি উপজেলায় বিক্রি করা হয়। কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে ব্যাস্ত। কেউ শাক-সবজিতে পানি দিচ্ছেন আবার কেউ বাজারে বিক্রির জন্য নৌকা,টেম্পুসহ বিভিন্ন যানবাহনে তুলছেন সবজিগুলো। এর মধ্যে কিছু কিছু সবজি সস্তা আবার কোন কোন সবজির দাম প্রচুর। যেমন বাজারে মূলা,লাইশাক,ধনেপাতা কিছুটা সস্তা হলেও ফুলকপি,ফরাস,ঝিংগার দাম এখনো প্রচূর। এখনো মাইলের পর মাইল জুড়ে শুধু সবজি আর সবজি। এদিকে কানাইঘাটে এখন পর্যন্ত কোন হিমাগার না থাকায় এসব সবজি কোথাও সংরণ করে রাখা যায়না। ফলে কৃষকরা বাধ্য হয়ে ১০/১২ টাকার সবজি ৩/৪ টাকা দরে বিক্রি করেন। কানাইঘাটে হিমাগারে সংরণ করার ব্যবস্থা হলে প্রায় সারা বছর এই সবজি পাওয়া যাবে বলে কৃষকরা মনে করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার ডঃ রতন চন্দ্র দে জানান, এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় সবজি চাষের ফলন বেশি হয়েছে এবং রোগবালাই কম হওয়ায় কৃষকেরা প্রত্যাশিত রবি শস্য বাজারজাত করতে পেরেছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়