Sunday, January 15

কানাইঘাটে চেক জালিয়াতির মামলায় মহিলা গ্রেফতার

গতকাল কানাইঘাট থানা পুলিশ এলাকার বহুল আলোচিত প্রতরণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী জাহানারা বেগমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। সে উপজেলার উজানীপাড়া গ্রামের প্রবাসী মখলিছুর রহমানের স্ত্রী। জানা যায়, জাহানারা বেগমের স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসে। এই সুবাদে সে এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্যবাণ জিনিসপত্র বাকি কিনে নিত। এছাড়াও বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা পয়সা ধার নিতো। পরবর্তীতে প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে সে তা অস্বীকার করতো এবং পাওনাদারদের উল্টো নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মানুষের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে আসছিল। এমতাবস্থায় আত্মীয়তার সূত্র ধরে গত ১৯ মে জাহানারা বেগম কানাইঘাট বাজারের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের নিকট থেকে বিশেষ প্রয়োজন দেখিয়ে নগদ ২লক্ষ টাকা ১মাস সময়ের কথা বলে ঋণ গ্রহন করে এবং সিলেট সিটি ব্যাংক বন্দর বাজার শাখার একটি চেক জসিমকে প্রদান করে। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে উক্ত চেক নিয়ে সিটি ব্যাংক বন্দর বাজার শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেন, জাহানারা বেগম স্বাক্ষরিত এ চেকটি তার একাউন্টের নয়। পরে জসিম উদ্দিন জাহানারা বেগমের সাথে যোগাযোগ করে তার প্রাপ্য টাকা ফিরত চাইলে জাহানারা থাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। জসিম নিরুপায় হয়ে বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেও কোন সুরাহা করতে পারেন নাই। অবশেষে তিনি গত ৪ অক্টোবর সিলেটের সিনিয়র চীফ্ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে প্রতিকার চেয়ে জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে একটি দরখাস্ত মামলা করেন। যার নং- (১৯৯)। বিজ্ঞ আদালত তদন্তক্রমে মামলাটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কানাইঘাট থানায় প্রেরণ করেন। মামলাটি থানার এসআই শফিকুল ইসলাম খান সরেজমিন তদন্ত করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় প্রতারক জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে ৪০৬, ৪২০, ৪২২ ধারায় অভিযোগ এনে আদালতে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত, জাহানারার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন, গত শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এ.এস.আই. অনুপম দেবনাথ ও হুমায়ূন কবির একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে জাহানারা বেগমকে তার পিত্রালয় ছত্রপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেন। এদিকে প্রতারক জাহানারা গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গতকাল সকালে থানা প্রাঙ্গনে কানাইঘাট বাজারের আরো ১০/১২ জন ব্যবসায়ীর তার কাছে টাকা পান বলে, থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল হোসাইনকে অবহিত করেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়