সুজন চন্দ অনুপ:
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কানাইঘাট বাজার সেলুন ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার(১৭ সেপ্টেম্বর) কানাইঘাট বাজার সেলুন ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে ৪র্থ বারের মতো হিন্দু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সেলুন দোকান মালিক, কারিগর ও নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে বিশ্বকর্মা পূজা পালন করেন।
এ বছর কানাইঘাটের পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার মহিদপুর গ্রামে সুনীল চন্দ মহাশয়ের বাড়িতে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দীনব্যাপী লীলা সংর্কীতন পরিবেশন করেন কালাচান সেবক সংঘ, গোলাপঞ্জের কীর্তনী সুমন দাস ও তার দল। পূজা-অর্চনা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় আগত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন বিশ্বকর্ম দেবতা হচ্ছে শৈল্পিক ও তৈরির বা নির্মানের দেবতা, বিভিন্ন কারুকাজে তৈরি করাই এই দেবতার কর্ম । প্রস্তুতকারক শিল্প ও কারখানার কর্মে জড়িত সনাতনী ভক্তরা শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মের পূজা করে থাকেন। বিশ্বকর্মা হচ্ছে শৈল্পিক দেবতা, শিল্পকর্ম, হস্তশিল্প, সেলুন, কারখানা নির্ভর সকল কাজে জড়িত সনাতনী ভক্তবৃন্দরা বিশ্বকর্মা দেবতার পূজা করেন।
প্রতি বছরই নির্দিষ্ট দিনে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার পূজা পালিত হয়ে থাকে। বিশ্বকর্মা পূজা মূলত বিশ্বকর্ম’র সন্তুষ্টি অর্জন ও তার প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে যারা হাতের কর্ম করেন বা শৈল্পিক কর্মের সাথে জড়িত তারাই বিশ্বকর্মের পূজা করে থাকেন।
উন্নত ভবিষ্যৎ, দক্ষতা বৃদ্ধি, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি সাফল্য অর্জনে প্রার্থনা করে থাকেন তারা। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দূর্গাপূজোর আগাম আনন্দের পূর্বাভাস। কখনো কখনো কারিগররা এসব যন্ত্রপাতি বিশ্বকর্মার নামে সমর্পন এবং ওই সময় সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারে বিরত থাকেন।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, কানাইঘাট বাজার সেলুন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শ্রী মানিক চন্দ, সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ, কোষাধ্যক্ষ সুমন চন্দ, কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে সুবুদ চন্দ, নিশি চন্দ, অজিৎ চন্দ, পুতুল চন্দ, মিঠুন চন্দ, পরিমল চন্দ, রাজু চন্দ প্রমুখ।
ভালো খবর। ইন্ডিয়া থেকে তারক সরকার
ReplyDelete