Thursday, May 27

কানাইঘাটে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক  ::  কানাইঘাট ৩নং দিঘীরপার পূর্ব ইউনিয়নের সরদারেরমাটি মৌনগর গ্রামের অসুস্থ আব্দুর রহিমের স্ত্রী ২ সন্তানের জননীকে গভীর রাতে বসত ঘরের বেড়া কেটে প্রবেশ করে ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তার পক্ষের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে ধর্ষিতার বাবা-মা অভিযোগ করেছেন। 

জানা যায়, গত ২০মে দিবাগত রাত ৩টার দিকে বসত ঘরের বেড়া কেটে প্রবেশ করে প্যারালাসিসে আক্রান্ত আব্দুর রহিমের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে সরদারেরমাটি মৌনগর গ্রামের মৃত আব্দুল্লার পুত্র ট্রলি চালক হবিব আহমদ (২৫)। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার সহযোগি আরো ২ থেকে ৩ জন। ভিকটিমকে ধর্ষনের পূর্বে এবং পরে শাররীক ভাবে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারপিট করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কানাইঘাট থানায় বাদী হয়ে ধর্ষনকারী হবিব আহমদ ও তার সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা আরো ২ জনকে আসামী করে ২০মে রাতে অভিযোগ দায়ের করেন। 

বিষয়টি ভিকটিমকে থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদের পর হবিব আহমদকে আটক করতে তার নেতৃত্বে থানার এসআই পার্থ সারথী দাস একদল পুলিশ নিয়ে ২০মে রাতে সড়কের বাজার থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় ধর্ষনকারী ও তার সাথে থাকা আরো অজ্ঞাতনামা ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ( নং-২১/২০/০৫/২০২)। 

ভিকটিমকে ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। এদিকে ধর্ষনের মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আসামী পক্ষের লোকজন ও গ্রামের প্রভাবশালী মাতব্বররা একজোট হয়ে নানা ধরনের পঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ভিকটিমের পিতা বিলাল আহমদ ও তার স্বজনরা জানিয়েছেন। বিলাল জানান, গরু বেপারি শালিকের ছোট ভাই ধর্ষনকারী সাথে ছিল । এখন সে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

ভিকটিমের বাবা বিলাল আহমদ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হকের প্রতি কৃতঙ্গতা প্রকাশ করে বলেন পুলিশের সব ধরনের সহযোগিতা তিনি পাচ্ছেন। 


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়