ইকুয়েডরে জ্বালানি তেলে সরকারি ভর্তুকি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও পরিবহন ধর্মঘট করছে সাধারণ জনগণ। এ অবস্থায় ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট লেলিন মোরেনো।
বৃহস্পতিবার দেশটিতে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি। খবর এএফপি’র
পুলিশ রাজধানী কুইটোর ঐতিহাসিক কেন্দ্রে সরকারি দফতরের কাছে পাথর ও আগুনে বোমা নিক্ষেপকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়্যার গ্যাস ছুঁড়ে।
![](https://www.daily-bangladesh.com/media/imgAll/inner/2023470611.jpg)
জরুরী অবস্থা জারি প্রসঙ্গে মোরেনো
সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিশৃঙ্খলা
এড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
পরিবহন খাত এ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিলেও এতে
শিক্ষার্থী ও অন্যান্য দলেরও অংশগ্রহণ রয়েছে। ইকুয়েডরে বিগত এক দশকের মধ্যে
এটি হচ্ছে সর্ববৃহৎ আন্দোলন।
এর আগে মঙ্গলবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক
ভাষণে প্রেসিডেন্ট মোরেনো জ্বালানী তেলের ভর্তূকি বাতিল করে গ্যাসেলিনের
দাম গ্যালন প্রতি ১ দশমিক ৮৫ ডলার থেকে ২ দশমিক ৩০ ডলার ও ডিজেলের দাম ১
দশমিক ৩ ডলার থেকে ২ দশমিক ২৭ ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দেন।
এরপরই দেশটির জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয় ও তা থেকে বিক্ষোভের শুরু হয়।
এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি জানান, অর্থনৈতিক
উন্নয়নের জন্যই এই ভর্তূকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া এর
ফলে জ্বালানী তেলের পাচারও রোধ করা যাবে।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা দেশটির কিছু এলাকায়
সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা একেবারে অচল করে দিয়েছে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের
মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় অনেক রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে।
![](https://www.daily-bangladesh.com/media/imgAll/inner/673908235.jpg)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া পলা রোমো
জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষে কতজন আহত
হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। সংঘর্ষ চলার সময় বেশকিছু ফটোগ্রাফার
আহত হয়েছে। ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ ১২০
শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ চলছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়