Monday, September 2

আব্দুল আলীমের মৃত্যুবাষির্কীতে গাইবেন তার দুই পুত্র

বাংলাদেশের লোক গানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন শিল্পী আব্দুুল আলীম। তিনি লোকসঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাল্যকাল থেকেই আব্দুল আলীম সঙ্গীতের প্রবল প্ররাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন, আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন। এভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পান।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তার ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। গুণী এ শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের স্টুডিও থেকে সরাসরি প্রচার করবে তার দুই পুত্র আজগর আলীম ও জহির আলীমের অংশগ্রহণে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠা অনুষ্ঠান ‘গানে গানে সকাল শুরু’। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপি এ অনুষ্ঠানে তার সন্তানরা তাদের বাবার গানের বিশাল ভান্ডার থেকে গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি ঐদিন সকাল ৭.৩০ মিনিটে থেকে প্রচারিত হবে। 
দেশভাগের পর আবদুল আলীম ঢাকা এসে বেতার-শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। এখানে বেদারউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাইলাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরীর কাছে তিনি লোকসংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে পারদর্শী হয়ে উঠেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে আব্দুল আলীমের গানের প্রথম রেকর্ড হয়। রেকর্ডকৃত গান দুটি হল ‘তোর মোস্তফাকে দে না মাগো’ এবং ‘আফতাব আলী বসলো পথে’।
১৯৫৬ সালে আব্দুুল আলীম বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’র প্লেব্যাক করেন। ‘সুজন সখী’র প্লেব্যাকের জন্য ১৯৭৪ সালে সেরা পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে আব্দুুল আলীমকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা দিবসে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করেন। 
 সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়