Saturday, August 31

আসামে ১৪৪ ধারা জারি, গোটা রাজ্য নিরাপত্তার চাদরে


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বেশ কয়েকটি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) আসামের নাগরিকত্বের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে এ সতর্ক অবস্থান নেয়া হয়েছে।

এই এনআরসি প্রকাশকে কেন্দ্র যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে গোটা রাজ্যকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
এরই মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে ৬০ হাজার পুলিশ সদস্য। সেই সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে ২০ হাজার আধাসামরিক বাহিনী (সিআরপিএফ) সদস্য।
গুয়াহাটিসহ রাজ্যের উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আসামের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কুলধর শইকিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,  রাজ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ৫১ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠিয়েছে কেন্দ্র। তবে আগে থেকেই রাজ্যে ১৬৭ কোম্পানি সিএপিএফ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্বের তালিকা হালনাগদ করার প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ নিয়ে আসামের নাগরিকরা এখন উদ্বেগের মধ্যে আছেন।
এদিকে আসাম পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যজুড়ে থাকা প্রায় ২৫০০ এনআরসি সেবা কেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ২শ কেন্দ্রকে উত্তেজনাপ্রবণ হিসিবে চিহ্নিত করেছে।
তারা রাজ্যের মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে। এদিকে গত বছর করা ওই রাজ্যে ‘প্রমাণিত নাগরিক’ তালিকা থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে ‍উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
নাগরিকত্বের তালিকা নিয়ে রয়েছে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ভারত জুড়ে বহু হিন্দু আসামের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রশংসা করে বলেছেন, অন্য রাজ্যগুলো সেটা করার ‘সাহস’ পায়নি, আসাম সেটাই করে দেখিয়েছে।
কিন্তু বিরোধী দলগুলো এই প্রক্রিয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার বহু পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ও লাখ লাখ মানুষকে রাতারাতি রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত করেছে।
বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, এই তালিকা মানুষের মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে।
প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই তালিকার সবচেয়ে সরব সমালোচকদের একজন। তিনি আশঙ্কা করছেন, এই প্রশ্নে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যাবে এবং এই প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটা পরিহাস।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়