৫ বছরের ছাত্রকে স্কুলে লোহার রড দিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়েছেন শিক্ষিকা। আহত হয়ে চোখে দেখতে পাচ্ছে শিশুটি। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে।
শিশুটির মায়ের অভিযোগ, আন্ধ হওয়ার অভিযোগ
মানতেই চাননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা শিশুটির চিকিত্সার খরচ দিতেও
অস্বীকার করেছেন। স্কুলের দাবি, অন্য একটি ছাত্রের সঙ্গে মারপিট করতে গিয়ে
আহত হয়েছে প্রি-প্রাইমারির ছাত্রটি।
১৩ অগস্ট ঘটনাটি ঘটে। তবে প্রথমে স্কুলের
কারো নাম নেয়নি মণীশ নামের ওই ছাত্র। পরে সে বাড়িতে সব জানালে, ২২ অগস্ট
থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মণীশের মা এএস রানি।
জ্ঞান গুরুকুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের
সেক্রেটারি গিরিজা, তার স্বামী ড. শিবগৌড়া ও অভিযুক্ত ক্লাস টিচার দিব্যার
বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে রানি জানিয়েছেন, স্কুলের সেক্রেটারি
১৩ অগস্ট তাকে ডেকে পাঠান। মণীশের বাঁ চোখে আঘাত লেগেছে বলে জানিয়ে তাকে
বাড়ি নিয়ে যেতে বলা হয়।
পরের দিন ডাক্তারকে দেখানোর পর তিনি জানান,
মণীশের দৃষ্টি ফেরানো কঠিন। তখনই ছেলেটি জানায় যে তাকে স্কুলে মারা হয়েছে।
সে ছাত্রটিকে প্রেসিডেন্টের ঘরে নিয়ে গিয়ে বলে যে সে পড়াশোনায় ভালো না।
সেই সময় সেখানে উপস্থিত সেক্রেটারি লোহার রড
দিয়ে শিশুটিকে মারে বলে অভিযোগ। সে বলতে থাকে, এ ধরনের ছাত্র স্কুলের নাম
খারাপ করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়