কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি মুসলমানদের ওপর সদকাতুল ফিতর
(ফিতরা) ফরজ করেছেন। আর তা হলো এক স্বা খেজুর বা এক স্বা যব।
মানুষ ঈদের সালাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে তা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশে প্রতিবছর রমজানে রাস্ট্রীয়ভাবে
ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসাবে এবার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ও
সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ফিতরার হার
সর্বনিম্ন ৭০ টাকাই ছিল তবে সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ৩১০ টাকা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এর হার
নির্ধারণ করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ
নিজাম উদ্দিন এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা
কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা
উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, ইসলামী
শরিয়াহ মতে সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি
পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে
বিতরণ করা যায়।
আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম
(অর্ধ স্বা)। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের (এক
স্বা) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়।
এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়