Monday, May 20

রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু পরামর্শ

ফিচার ডেস্ক:
মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের কাছে অবশ্য পালনীয় রোজা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখাও জরুরি। তবে এ মাসে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে পুষ্টি বিজ্ঞানীরা। চলুন জেনে নেই।
সাধারণ নির্দেশনা
রমজান মাসে ডায়াবেটিক ব্যক্তি রোজা রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে এ মাসে আলাদা করে ওষুধ খাবার নিয়ম ডাক্তারের কাছে জেনে নিন। খাবারের পরিমাণ অন্য খাবারের মতোই থাকবে এবং তিন বেলাতেই খেতে হবে। তবে ‘হাইপো’ লক্ষণ অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজ লেভেল হঠাৎ করে কমে গেলে খাবার খেতে হবে। এ মাসে তেমন আলাদা করে ব্যায়াম করার দরকার নেই, বিকেলে বিশ্রামে থাকা ভালো। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
সেহরিতে যা খাবেন
১) ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, শাকসবজি, ফল
অথবা
২) আটার রুটি-পাউরুটি, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, শাকসবজি, ফল
উপরের যেকোনো একটি খাবেন। খাবারের পরিমাণ অন্য সময়ের দুপুরের খাবারের মতো।
ইফতারে যা খাবেন
১) ইফতারে যেকোনো একটি পানীয় বা শরবত রাখা জরুরি। আনারস, তরমুজ, জাম্বুরা, জাম, কমলা অথবা কোনও রসালো ফলের রস অর্ধেক গ্লাস, সাথে অর্ধেক গ্লাস পানি ও এক চামচ লেবুর রস মেশাতে হবে। মিষ্টি স্বাদের জন্য স্যাকারিন বা এসপারচেম মেশানো যায়। এছাড়া পানীয়ের তালিকায় আরও থাকতে পারে চিনিবিহীন দই দিয়ে বানানো লাচ্ছি, মিল্ক শেক অথবা কচি ডাবের পানি।
২) ইফতারে ফল থাকতেই হবে। খেজুর ২-৩টা, মিষ্টি ফল যেকোনো একটি। মিষ্টি ফলের মধ্যে থাকতে পারে একটা কলা, আপেল, কমলা, মোসাম্বি অথবা ছয়টা লিচু, আতা ফল একটা, কাঁঠাল তিন কোয়া, পাকা পেঁপে ৬০ গ্রাম, নারকেল ২-৪টা চামচ, বেদানা অর্ধেক, পাকা বেল অর্ধেকটা, আনারস ৬০ গ্রাম, আঙ্গুর তিনটা, তাল এক কাপ।
৩) শসা, খিড়া, গাজর, কাঁচা পেয়ারা- ইচ্ছামতো
৪) ইফতারে ভারি খাবারের মধ্যে থাকতে পারে
ক) বুট-ভুনা আধা থেকে এক কাপ, মুড়ি- দুই-তিন কাপ, পিঁয়াজু দুই/তিনটা, বেগুনি-দুই/তিনটা, হালিম
অথবা
খ) ভেজা চিড়া- দুই কাপ, কলা- ১টা, দই- এক কাপ
অথবা
গ) পরোটা/পুরি, মাংস, ডাল, হালিম
অথবা
ঘ) ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, শাকসবজি
উপরের যেকোনো একটি খাওয়া যেতে পারে। খাবারের পরিমাণ হতে হবে অন্য সময়ের রাতের খাবারের মতো।
রাতে যা খাবেন
১) ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, শাকসবজি
অথবা
২) আটার রুটি, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, শাকসবজি
উপরের যেকোনো একটি খেতে হবে। রাতের খাবারের পরিমাণ হবে অন্যান্য দিনের সকালের নাস্তার মতো।
খাবারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা
১) ইফতার, রাতের খাবার এবং সেহরি- এই তিন বেলাই খেতে হবে।
২) সেহরির শেষ সময়ের অল্পক্ষণ আগে খেতে হবে।
৩) ডায়াবেটিস আক্রান্তদের অল্প পরিমাণ খাবার খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়। তাই পরিপূর্ণ খাবার খেতে হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়