কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গেল দুদিন ধরে চলা সহিংসতায় ২৩ জন ফিলিস্তিনি ও চারজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুসহ দুই গর্ভবতী ফিলিস্তিনি নারীও রয়েছেন। শুক্রবার গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ থেকে নতুন করে এই লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের
অভ্যন্তরে ৩২০টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়। আর ফিলিস্তিনি ভূমি
থেকে ৬০০ রকেট হামলা চালানো হলেও বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গেল কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকারীদের মধ্যে এটা সবচেয়ে তীব্র লড়াই।
এদিকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে হামলা জোরালো করার
নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামেন নেতানিয়াহু। গাজার
কর্মকর্তাদের দাবি, গেল দুদিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত
হয়েছেন। আর ফিলিস্তিনি রকেট হামলায় চার নাগরিক নিহতের দাবি করেছে ইসরায়েল।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার নতুন করে সহিংসতা
শুরুর পর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ উত্তেজনা প্রশমনের
আহ্বান জানিয়েছিলেন। রোববার রাতে জাতিসংঘ, কাতার ও মিসর অস্ত্রবিরতির জন্য
মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেয়।
সোমবার সকালে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন, অস্ত্রবিরতিতে তারা সম্মত হয়েছেন। এদিন স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে
চারটা থেকে এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে। তবে এই বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের
কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। রোববার রাতজুড়েই বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে
দখলদার ইসরায়েল।
ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিরোধের ধারাবাহিকতায়
গাজা উপত্যকায় দশ বছরের বেশি সময় ধরে চলা অবরোধের প্রতিবাদে শুক্রবার আবারো
বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনিরা। ওই বিক্ষোভের মধ্য থেকে এক ফিলিস্তিনির ছোড়া
গুলিতে সীমান্ত বেড়ার কাছে দুই সেনা আহত হওয়ার দাবি করে ইসরায়েল। এর জবাবে
বিমান হামলা চালিয়ে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। তাদের সন্ত্রাসীও
আখ্যা দেয়।
এ ঘটনার জেরে শনিবার সকাল থেকে ফিলিস্তিনের
গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি ভূমি লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া শুরু হয়। ইসরায়েলের
আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বহু রকেট প্রতিহত করতে পারলেও
বেশ কয়েকটি ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে আঘাত হানে। এসব রকেট হামলায় চার
ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনে চালানো এবারের হামলায় ইসরায়েল
যেসব ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করেছে সেগুলোর মধ্যে গাজার একটি বহুতল ভবন রয়েছে।
এই ভবনে হামাসের গোয়েন্দা দফতর ছিল। তুরস্ক জানিয়েছে, তাদের রাষ্ট্রীয়
বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির কার্যালয় ছিল সেখানে।
রোববার রাতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এক
বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েল যদি পূর্ণ অস্ত্রবিরতির প্রতিশ্রুতি দেয় তাহলেই
কেবল পুরো শান্ত অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়