নিউজ ডেস্ক:
প্রাথমিক স্কুলে মুসলমান মেয়েদের হিজাব বা মাথায় যে কোনো ধরনের কাপড় পরা নিষিদ্ধ করে গত ১৫ মে আইন পাস করেছে অস্ট্রিয়া সরকার।
বিরোধী দলের অধিকাংশ সংসদ সদস্য এ আইনের
বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকারি জোটের উগ্র ডানপন্থী একটি দলের আগ্রহেই
নিষেধাজ্ঞা বিলটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করে পাস হওয়া
হিজাববিরোধী এই আইনের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার এক
নারী সাংসদ। মার্তা বসম্যান নামের ওই অমুসলিম সংসদ সদস্য মাথায় হিজাব
জড়িয়েই সংসদে আসেন এবং তার বক্তৃতায় অবিলম্বে বিলটি বাতিল করার আহ্বান
জানান।
মার্তা বসম্যান নিজের হিজাবের দিকে
ইশারা করে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশ্ন ছোড়েন, হিজাবের
কারণে কি কিছুর পরিবর্তন হয়েছে, আমি কি এখন এমপি নেই, অস্ট্রিয়ান থেকে বের
হয়ে গিয়েছি?
মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা
জানিয়ে সংসদ অধিবেশনে বক্তৃতা শুরু করে মার্তা বসম্যান বলেন,নিষেধাজ্ঞা বিল
পাশের ফলশ্রুতিতে হিজাব পরিহিতা মুসলিম মেয়েরা ঘৃণ্য কটূক্তির শিকার হন
এবং নেকাব পরার কারণে রাস্তাঘাটে সংকীর্ণ মন নিয়ে চলতে বাধ্য হন তারা।
তিনি মনে করেন, হিজাব মুসলিম নারীর
পরিচয় ও তাদের সংস্কৃতি এবং মুসলিমদের জীবনের অংশ। কিন্তু রাজনৈতিক
স্বার্থে হিজাবকে মুসলিম বিরোধীদের প্রতীক হিসেবে চিত্রায়ণ করা হয়েছে।
অমুসলিম এই নারী সাংসদ আরও বলেন, আমরা
মুসলমানদের কাছ থেকে সহনশীলতা, ক্ষমা ও একাত্মতার মূল্যবোধ শিখতে পারি।
হিজাব সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে না; কিন্তু কতক দল হিজাবের বিরোধিতা করে
মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা চালায়, তাদের উদ্দেশ্য আর কিছু নয়; ভোটারদের মন জয়
করে ভোট অর্জন করা।
তিনি বলেন, হিজাব নিষিদ্ধতার আইনটি এমন স্পর্শকাতর বিষয়, যা খুব শিগগির পুরোপুরি বাতিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যার মোট ৮ শতাংশ
মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ২০১৭ সালের আদমশুমারির তথ্যানুযায়ী, দেশটির
মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা ৭ লক্ষাধিক, যার পরিমাণ এখন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়