কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
চুলকানি খুব সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু চুলকানি যখন চর্মরোগের পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন তা ভাবনার বিষয় বটে। শরীর কেন চুলকায়, এ রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য কম কাঠখড় পোড়ানো হয়নি। বিজ্ঞানের বিশ্লেষণ এ বিষয়ে কিছু বিস্ময়কর তথ্যের হদিস দিয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক-
বিজ্ঞান বলছে, একজন মানুষ দৈনিক গড়ে ৯৭ বার
গা চুলকায়। এ লেখা আপনি যখন পড়ছেন, তখনো হয়তো আপনার শরীরের কোনো না কোনো
অংশ চুলকাচ্ছে। অনেক সময় পশু কিংবা গাছ লতাপাতার সংস্পর্শে এলে গা চুলকায়।
ছোটবেলায় যারা খড়কুটার মধ্যে খেলাধুলা করেছেন, তারা এ বিষয়টি হয়তো জানেন।
এসবের সংস্পর্শে এলে শরীর চুলকানোর কারণ হচ্ছে এগুলো থেকে নিঃসরিত বিষ
মানুষের চামড়ায় লেগে যায়, তখন মানবদেহে হিস্টামিন নির্গত হয়। নির্গত হওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে স্নায়ুকোষ ফাইবারের মাধ্যমে মস্তিষ্কে চুলকানির বার্তা
পৌঁছায়।
চুলকানি ও ব্যথার সিগন্যাল মস্তিষ্কে
পৌঁছানোর পথ এক নয়। বিজ্ঞান বলছে, এ দুয়ের পথ ভিন্ন। চুলকানির এই সিগন্যাল
মস্তিষ্কে পৌঁছানোর একটি গতি আছে। ঘণ্টায় তা দুই মাইল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে,
হাত দিয়ে শরীরের কোথাও চুলকানোর ফলাফল কী? ভালো নাকি মন্দ? কীটপতঙ্গ বা
লতাগুল্মের সংস্পর্শে আসার পর যে চুলকানি হয়, তখন শরীর চুলকালে আক্রান্ত
স্থানের শিরা প্রসারিত হয়। এর ফলে রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা আক্রান্ত স্থানে
পৌঁছায় এবং বিষের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
চুলকালে আরাম বোধ হয় কেন জানেন? এ সময়
মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরিত হয়, ফলে পরিতৃপ্তি লাভ করা যায়। তবে আফসোসের
বিষয় হচ্ছে চামড়া যতই চুলকাবেন, চুলকানির মাত্রা ততই বাড়বে। চুলকানোর সময়
চামড়ায় হিস্টামিন নির্গত হয় বিধায় আরও চুলকাতে ইচ্ছা করে। বেশি চুলকালে
চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খবর বিভাগঃ
স্বাস্থ্য
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়