কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন গাজীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি বর্তমান সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ৮ বছর। এখন প্রতিমন্ত্রী হয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামতে চান তিনি। ক্রীড়াঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করলে ছাড় দেবেন না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
সোমবার বঙ্গভবনে শপথ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেট ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আসে। ক্রীড়াঙ্গনের দুর্নীতি দূর করতে কতটা সোচ্চার থাকবেন- জানতে চাইলে নতুন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। আজকে আমি এখানে এসেছি, সততা আমার বড় একটি বিষয়। এটা আমার বাবারও ছিল, আমিও সততাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স। এই বিষয়ে কেউ যদি কোনো কিছু করে তবে আমি কাউকে ছাড় দেব না।’
এক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুশি হয়েছি। গাজীপুর-২ আসন বাসীর পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি যে আস্থা রেখেছেন আমি সেই আস্থার প্রতিদান দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি ১০ বছর ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম। আমি আশা করছি, এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে একটি আদর্শ মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।’
‘এই মন্ত্রণালয় নিয়ে সবসময় একটি কথা উঠে যে অবকাঠামোর দিকে বেশি নজর দেয়া হয়, প্রশিক্ষণের দিকে বেশি নজর দেয়া হয় না। আমি অবশ্য এটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব ট্যালেন্ট হান্টিংয়ের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্যালেন্টগুলোকে ঢাকায় এনে সারা বছর যদি প্রশিক্ষণ দেয়া যায় সেই বিষয়টিকে আমি গুরুত্ব দেব।’
নতুন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেখা যায় কোনো গেমস আসলে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সারাবছর কোনো ট্রেনিং দেয়া হয় না। এটা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে হতে পারে সেজন্য আমার পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়