Friday, June 15

কানাইঘাট নারাইনপুর গ্রামের দু'পক্ষ সালিশে রাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট ঝিংগাবাড়ী ইউপির আগফৌদ নারাইনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে একাধিক সংঘর্ষ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষ সামাজিক সালিশের মাধ্যমে নিজেদের বিরোধ নিরসনে রাজী হয়েছে। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ ও ঝিংগাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিরসনে সর্বশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শান্তিপূর্ণভাবে উভয় পক্ষের লোকজন ঈদুল ফিতর পালন এবং ঈদের নামাজ যাতে নির্বিঘ্নে পড়তে পারেন এজন্য ওসি আব্দুল আহাদ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন এবং গ্রামের নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীরা শুক্রবার বাদ জুম’আ গ্রামের পূর্ব জামে মসজিদে নামাজ পড়েন। পরে থানা পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিবর্গ গ্রামের উভয় পক্ষের লোকজনদের সাথে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে দেশপক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান গং ও অপর পক্ষের বর্তমান ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন গংরা সামাজিকভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে রাজী হন। উভয় পক্ষের লোকজন সালিশ বৈঠকের আগে কোন ধরনের উত্তেজনা, মারামারিতে জড়াবে না বলে অঙ্গিকার করেন। ঈদের পরে থানা পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, নিরপেক্ষ লোকজন দিনক্ষণ ঠিক করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে উভয় পক্ষের বিরোধ নিরসনে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি 'কানাইঘাট নিউজকে' বলেন, নারাইনপুর গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের জন্য থানা পুলিশ সব সময় আন্তরিক ছিল। তারপরও পুলিশের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার করা হয়েছিল। আমরা চাই গ্রামের সবাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর গ্রামের লোকজন যাতে করে আনন্দের সহিত উদযাপন করতে পারেন এজন্য ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন ও এলাকার নিরপেক্ষ গণ্যমান্য লোকজনদের সহযোগিতায় আমি উভয় পক্ষের লোকজনদের সাথে কথা বলেছি এবং বিরোধ নিরসনে সামাজিক সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজী হয়েছেন। ঈদের পরে উভয় পক্ষের লোকজনদের নিয়ে বসে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে। 

 কানাইঘাট নিউজ ডটকম/১৫জুন ২০১৮ ইং

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়