Sunday, June 17

কানাইঘাটে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এডিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও অবনতি হয়েছে সাতবাঁক ও দিঘীরপার ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি । ভারতের উজান থেকে নেমে আসা কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতবাঁক ও দিঘীরপার ইউপির বিস্তীর্ণ এলাকার নতুন করে বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ দুটি ইউনিয়নের সমস্ত ফসলি জমির আউস ধানের মাঠ তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। গ্রামীণ রাস্তাগুলো বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জন জন দূর্ভোগ বেড়েছে এ দুটি ইউনিয়নে। এদিকে কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি দেখার জন্য সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট(এডিএম) সন্ধিপ কুমার সিং বন্যায় আক্রান্ত বিভিন্ন এলাকায় রবিবার পরিদর্শন করেছেন। তিনি উপজেলার বড়চতুল, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম, কানাইঘাট সদর, ৪নং সাতবাঁক এবং ৩নং দিঘীরপার ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি লুসিকান্ত হাজং এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। এ দিকে উপজেলার বন্যা দূর্গত এলাকার পানিবন্ধি মানুষের জন্য সরকারি ভাবে মাত্র ১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে, যা একেবারে অপ্রতুল বলে সবাই জানিয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা জানান সরকারিভাবে আরো ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্ধের প্রক্রিয়া রয়েছে, ২/১ দিনের মধ্যে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট বিতরণ করা হবে। পাহাড়ি ঢলের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তানিয়া সুলতানা বলেন, উপজেলার অধিকাংশ এলাকা থেকে বানের পানি নেমে গেছে। সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে যে ভাবে পানি আস্তে আস্তে নামছে সাথে সাথে ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। পাহাড়ী ঢলের কারণে ভয়াভহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় মৎস্য, কৃষি সেক্টরে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার পাকা, কাঁচা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। 

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/১৭জুন ২০১৮ ইং

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়