Wednesday, March 7

ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

image-25124-1520420637.jpg


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতাবিরোধীরা। তখন ৭ মার্চের ভাষণ বাজানোর কোনও অধিকার ছিল না। যেখানেই এই ভাষণ বাজানো হতো সেখানেই তারা বাধা দিতো। কিন্তু শত নির্যাতন-বাধার পরও  আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এ ভাষণ বাজিয়েছিলেন। ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না। শত চেষ্টার পরেও স্বাধীনতাবিরোধীরা এই ভাষণ মুছে ফেলতে পারেনি।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেসকো স্বীকৃতি দিয়েছে। আড়াই হাজার বছরের ভাষণের ইতিহাসের মধ্যে এই ভাষণ অন্যতম শ্রেষ্ট ভাষণ।

ষড়যন্ত্রের কারণে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বারবার বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশের মানুষ। সংগ্রাম করেই একুশ বছর পর আবারও ক্ষমতায় আসতে পেরেছে আওয়ামী লীগ।

আজ বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল খালেদা জিয়ার উৎসব ছিল আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা।

এর আগে বেলা ৩টার দিকে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বেলা ২টার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় ভরে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে লাখো মানুষের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সভাস্থল। মঞ্চে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ধরে নানা জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এসব মিছিলে সভা উপলক্ষে তৈরি নানা প্রতিকৃতি, পোস্টার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিবাহী পোস্টার ও প্রতিকৃতি ছিল অনেকের হাতে।

জনসভা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। সভাস্থলে ঢোকার আগে সবারই তল্লাশি চলেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে।

সূত্র: বিডি লাইভ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়