Thursday, November 16

কানাইঘাটে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ! ইজারার শর্ত মেনে লোভাছড়া কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন করতে হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লোভাছড়া পাথর কোয়ারী এলাকায় অনাকাংখিত প্রাণহানি ও দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় লোভাছড়া পাথর কোয়ারী সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সাংবাদিক, লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ব্যবসায়ী সমিতি ও পাথর শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সৈয়দ আমিনুর রহমান বলেন- কোয়ারীর পার্শবর্তী বাংলা টিলায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের কারনে সেখান থেকে গত ৭ নভেম্বর পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটিচাপা পড়ে ৪ শিশু শিক্ষার্থীসহ ৬ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানীর ঘটনা অত্যান্ত দঃখজনক এটা মেনে নেওয়া যায় না। ভবিষ্যতে কোয়ারী আশপাশ এলাকার পাহাড়, টিলা, সমতল এবং বসত বাড়ী থেকে যাতে করে কেউ চুরির করে অবৈধভাবে গর্ত তৈরি করে পাথর উত্তোলন করতে না পারে এজন্য প্রশাসনের সর্বোচ্ছ পর্যায়ে নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কটোর ও দৃষ্টান্তমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, শুধু মাত্র প্রশাসন দিয়ে দূর্গম লোভাছড়া এলাকায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ও পরিবেশ বিধ্বংসী যে কোন তঃপরতা বন্দ করা সম্ভব নয়। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রশাসনকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে কোয়ারী এলাকায় বেআইনী কর্মকান্ড বন্ধ করতে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পাথর ব্যবসায়ী ও সচেতন মহলকে সহযোগিতা করতে হবে।সেই সাথে তিনি কোয়ারী এলাকার ইজারার অংশ চিহ্নিতকরণ এবং ইজারা শর্ত মেনে পাথর উত্তোলন করার জন্য ইজারাদার ও ব্যবসায়ী, শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানান। মতবিনিময় সভায় দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যে অনেকে বলেন, পাথর কোয়ারীর ইজারার অংশে কখনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কোয়ারীর মূল উৎস স্থল বিজিবি বন্ধ করে দেওয়ায় এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে তাদের বাড়ী ঘর থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে প্রাণহানির মতো ঘটনা বর্তমানে সেখানে ঘটছে। সচেতন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কোয়ারী এলাকা দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং সেই এলাকার পাহাড় টিলা ও বসত বাড়ী থেকে গর্ত তৈরী করে বিক্রির অযোগ্য মরা পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলে ভবিষ্যতে এই এলাকায় প্রাণহানীসহ যে কোন দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে সভায় অভিমত ব্যকত করা হয়। সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আ‘লীগের আহবায়ক লুৎফুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ, লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ইজারাদার ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ, পৌর আ‘লীগের আহবায়ক জমাল উদ্দিন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সহ-সম্পাদক আব্দুন নুর, উপজেলা বিট কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির চেয়ারম্যান জেমস্ লিও ফারগুসন নানকা, লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউপি চেয়ারম্যান ডাক্তার ফয়েজ আহমদ, দিঘীরপাড় পুর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মামুন রশিদ, বানীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন, রাজাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, লোভাছড়া মুলাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, পাথর ব্যবসায়ী হাজী বিলাল আহমদ, নেনন আহমদ, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক জুনেদ হাসান জীবান প্রমুখ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়