Thursday, June 15

আমৃত্যু কুরআনের খেদমত করতে চান কানাইঘাটের হাফেজ জামাল


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মহাগ্রন্থ কুরআনুল কারীম। মানবজাতীর চলার পথের গাইড লাইন। মুমিনদের আত্মার খোরাক। তেলাওয়াতে খুশি হয় মুমিনদের অন্তর। বাড়ে ঈমান। ঐশী গ্রন্থ। মহান আল্লাহর চিরন্তন বাণী। মিথ্যা ভুল ও সন্দেহের উর্ধ্বে এক মুজেযাপূর্ণ কিতাব। লৌহে মাহফুজে সংরক্ষিত কিতাব। হেরা গুহায় সূচনা এ কুরআন। ইকরা বিসমি দিয়ে সূচনা। বাহক ফেরেশতা জিবরাইল। প্রিয় রাসুল সা. ঠিকানা। কুরআন এক আলোর ফোয়ারা। হেরার জ্যোতি। কুরআন মানব জাতির মুক্তির সনদ। মানুষের পথ নির্দেশিকা। মুমিনের ইমানের চেতনা। মুত্তাকির জান্নাতের ঠিকানা। কুরআন জন্ম ও মৃত্যুর মাঝে পথচলার সমাধান। কুরআনের মাস রমজান। এ মাসে কুরআন অবতীর্ণ হয়। তাইতো রমজান সম্মানিত। কুরআন ছোঁয়া লাগবে যে অন্তরে, সে অন্তর হবে উদ্ভাসিত। হবে সুবাসিত সুরভিত। কুরআনের ছোঁয়ায় ঈমান হবে শাণিত। হবে তেজদ্বীপ্ত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা ইমানদার তারা যখন আল্লাহর নাম নেয়, নরম হয় তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে কুরআন পাঠকরা হয়, তাদের ঈমান সজিব হয়ে উঠে। তারা মাওলা প্রেমে আত্মনিবেদিত হয়। সুরা আনফাল : ২ রোজায় কুরআনের সুর বাঁজে মুমিনের ঘরে ঘরে। তারাবির নামাযে পঠিত হয় কুরআন। পহেলা রোযা থেকে একাধারে ২৭ রোযা পর্যন্ত সিলেটের সকল মসজিদে মসজিদে হাফেযে কুরআনদের কন্ঠে ধ্বণীত খোদার বানী। শীতল হয় মুসল্লিদের হৃদয়। এসকল হাফেযে কুরআনদের খেদমতে মুসল্লিরা মহান আল্লাহকে পাওযার আশায় থাকেন। দৈনিক সিলেটের মানচিত্র পত্রিকার এই আয়োজন হাফেযে কুরআনদের নিয়ে। আমাদের স্টাফ রিপোর্টার আতিকুর রহমান নগরীর হাফেযে কুরআনদের সাথে কথা বলে লিখছেন তাদের অনুভূতির কথা। আল্লাহ যার জন্য কল্যাণকর মনে করেন, তাকেই ঐশীজ্ঞান দান করেন। মহান আল্লাহ যার প্রতি মায়ার নজরে, রহমতের নজরে, করুণার দৃষ্ঠিতে তাকান তাকে দিয়েই দ্বীনের খেদমত, ইসলামের খেদমত, কুরআন চর্চার খেদমত নেন। এটা অনস্বীকার্য। সবাই এটা মেনে নিতে বাধ্য। সবাই হাফেয হতে পারে না, পারেনা আলেম হতে। সবার দ্বারা দ্বীনে এলাহির খেদমত হয়না। হয়না ইসলামের প্রচার-প্রসার। মহান আল্লাহ যাকে নির্বাচিত করেন যাকে, তাকে দিয়েই তিনি এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দেন। এর জন্য সহজ করে দেন সকল পথঘাট। দূর করে দেন সকল বাঁধা-বিপত্তি। আসান করে দেন সকল কার্যাদি। হাফেয জামাল উদ্দিন এরকমই একজন মানুষ যাকে আল্লাহ পাক কুরাআনের খেদমত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। হাফেয জামাল উদ্দীন। বয়স ২৬। কানাইঘাট উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে মাওলানা তাছির উদ্দীন এর ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে দারুল কুরআন মুঈনুল ইসলাম শিবনগর মাদ্রাসা থেকে কানাইঘাট বোর্ডে হিফজ তাকমিলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথমস্থান করেন। ২০১৫ সালে আঙ্গুরা থেকে তাকমিল ফিল হাদীস (মাস্টার্স) সমাপন করেন। ২০১৬ সালে সুহিউস সুন্নাহ সাতবাঁক চরিপাড়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ হন। সেখানে একবছর শিক্ষকতার পর জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর মাদ্রাসার মহাপরিচালক, মানুষ গড়ার কারিগড় আল্লামা শায়খ যিয়া উদ্দিন দা. বা.’এর নির্দেশে তিনি আঙ্গুরা মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তরুণ হাফেয জামাল উদ্দিন এর ১৮ জন ছাত্র এবছর আযাদ দ্বীনি এদারা বোর্ডে হিফজ এর সবক শেষ করে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। হাফেয জামাল আমি এবছর জকিগঞ্জ বিরশ্রী ইউনিয়নে তারাবির নামাযে ইমামতির মহান দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে আঞ্জাম দিচ্ছেন। অনুভূতি প্রকাশ কালে হাফেয জামাল উদ্দীন বলেন, মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কালামে পাকের বাণি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে চাই। 
কৃতজ্ঞতা:সিলেটের মানচিত্র।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়