Sunday, November 13

মঙ্গল গ্রহে এবার মিললো নারীর মৃতদেহ!

মঙ্গল গ্রহে এবার মিললো নারীর মৃতদেহ!
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর বাইরে জনবসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে নাসার বিজ্ঞানীদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, লাল গ্রহ হিসেবে পরিচিত মঙ্গল গ্রহে। গ্রহটিতে মানুষের বসবাসের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আগে থেকেই গবেষণা চালাচ্ছেন নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে মঙ্গল গ্রহে কখনো পানি কিংবা প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না, সে বিষয়ে অনেক বছর ধরেই অনুসন্ধান চলছে।

মঙ্গল গ্রহে অতীতে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিংবা বর্তমানে রয়েছে, এমন প্রমাণ নাসা তাদের গবেষণায় এখন পর্যন্ত না পেলেও, ইউএফও গবেষকরা এ ব্যাপারে নাসার সঙ্গে একমত নয়। কেননা, বরাবরই ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহে ভিনগ্রহে প্রাণীদের বসবাস ছিল কিংবা এখনো রয়েছে বলে দাবি করে আসছে।

গ্রহটিতে সম্প্রতি কাজ করছে নাসার একাধিক রোবটযান। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ২০০৪ সালে পাঠানো অপারচুনিটি রোভার এবং ২০১২ সালে পাঠানো কিউরিসিটি রোভার। শক্তিশালী এসব রোবটযান মঙ্গল গ্রহের ভূত্বক ও পরিবেশ নিয়ে নানা অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং একের পর এক ছবি পাঠাচ্ছে।

চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে, এসব রোবটযানের পাঠানো নাসা কর্তৃক প্রকাশিত মঙ্গলগ্রহের ছবিগুলো বিশ্লেষণ করেই, ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিংবা এখনো রয়েছে বলে দাবি করে আসছে।

ইতোমধ্যে মঙ্গল গ্রহে বিভিন্ন প্রাণীর জীবাশ্ম, মূর্তি, কামান, চামচ, কবর, মমি, জুতাসহ একের পর এক নানা কিছু দেখার দাবি করেছেন বিভিন্ন ইউএফও গবেষকরা। আর এবার এ তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে নারী।

সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে গ্রহটিতে মৃত নারী দেহ দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করে ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ইউএফও নিউজের জনপ্রিয় সাইট ‘ইউএফও সাইটিংস ডেইলি’র প্রতিষ্ঠাতা স্কট সি। এই নারী দেহ পাওয়ার ঘটনাটিকে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘শতাব্দীর সেরা সন্ধান’ হিসেবে।

তিনি বলেন, নাসার একটি ছবিতে মঙ্গলের মাটিতে আমি এমন একটি অশোধিত আকৃতি দেখতে পেয়েছি, যা সেখানের স্থানীয় কারো অধিবাসীর শরীর বলে মনে করছি। আমি বিশ্বাস করি ভূমিক্ষয় এবং সম্ভবত সেখানে যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছিল। এটাকে আমি শতাব্দীর সেরা খোঁজ বলে মনে করছি কারণ, ওই অশোধিত ফিগারটি দেখতে একটি মৃত নারী দেহের মতো, তার দুটো হাত, দুটো পা এবং একটি মাথাও স্পষ্টতই লক্ষণীয়।

‘মঙ্গল গ্রহের প্রকাশিত ছবি বিশ্লেষণ করে সেখানে ভিন্ন প্রজাতির উপস্থিতি ছিল বা এখনো রয়েছে এমন ১০০ বেশি বৈশিষ্ট্যে আমি এ পর্যন্ত পেয়েছি, কিন্তু কখনো মানব সাদৃশ্য কোনো কিছুর দেখা পাইনি, যা এবার দেখতে পেলাম। ওই নারী আকৃতির কঙ্কালটির পোশাকের ধরন যদি অনুমান করা হয়, তাহলে দেখা যাবে তা ১৭০০ সালের পৃথিবীর নারীদের পোশাকের মতোই।

এদিকে ইউএফও গবেষকরা মঙ্গল গ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে প্রাণের অস্তিত্ব বিষয়ে নানা কিছু দেখার দাবি করে আসলেও, তাদের একের পর এক এসব দাবির ব্যাপারে নাসা বরাবরই নীরব। ২০৩০ সালের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গল গ্রহে বসবাসের জন্য মানুষ পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যেই নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

তথ্যসূত্র : মিরর

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়