Monday, October 10

ভিক্ষা করে কালুজান বেওয়ার মসজিদ নির্মাণ

ভিক্ষা করে কালুজান বেওয়ার মসজিদ নির্মাণ
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: চার বছর স্বামী নেই। চার সন্তান থেকেও নেই। বেঁচে থাকার তাগিদেই ভিক্ষা করেন ৭০ বছরের কালুজান বেওয়া। ইচ্ছে, শেষ জীবনে হলেও স্বামীর রেখে যাওয়া জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন।

তাই শুরু করেন সঞ্চয়! বয়স্ক ভাতা আর বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে সংসার চালানোর পরে যা উদ্বৃত্ত থাকে, তাই জমান। আর জমানো সেই টাকা দিয়ে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের শীরঘাটা গ্রামে নির্মিত এই মসজিদটিতে মুসুল্লিরা এখন নিয়মিত নামাজ পড়ছেন। বিনা বেতনে একজন ইমামও রাখা হয়েছে।

বৃদ্ধা কালুজান জানান, ভিক্ষা ও বয়স্ক ভাতার টাকায় সংসার চালানো পর যে টাকা উদ্বৃত্ত হতো সেই টাকা তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফজলুর রশিদ বাজেদের কাছে জমা রাখতাম। এরপর সেই জমানো টাকা দিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল ২৪ শতাংশ জমির উপর মসজিদটি নির্মাণ করি।

বজলুর রশিদ জানান, বয়স্ক ভাতা ও ভিক্ষার টাকা তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে জমাতে থাকেন। এভাবে খেয়ে না খেয়ে দুই লাখ চার হাজার টাকা জমা করেন কালুজান। এলাকাবাসী তাকে জমানো টাকা দিয়ে স্বামীর নামে খরচ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তাদের কথায় কান না দিয়ে কালুজান তার মনের কথা সবাইকে জানান।

বজলুর রশিদ আরও জানান, ইতোমধ্যে মসজিদ ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, তবে জমানো টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় ঘরের মেঝে পাকা করা সম্ভব হয়নি। তরফপুর-মির্জাপুর-বাঁশতৈল যাওয়ার রাস্তাসংলগ্ন জমির পাশে মসজিদটি নির্মিত হওয়ায় এলাকার লোকজন ছাড়াও পথচারীরাও নামাজ পড়ছেন। একজন ইমামও রাখা হয়েছে। তবে বর্তমানে তাকে বেতন দিতে হয় না।

মসজিদের মোমবাতি ও আগরবাতিসহ আনুষাঙ্গিক খরচও বৃদ্ধা কালুজান বেওয়া বহন করছেন বলে জানালেন বজলুর রশিদ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়