কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার মা সংসারের খরচের টাকা জমিয়ে
রাখতেন। পরে সেসব টাকা বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দিতেন। জাতির জনক রাজনৈতিক
কার্যক্রম, আন্দোলন-সংগ্রাম আর মানুষের কল্যাণে সেসব অর্থ কাজে লাগিয়েছেন।
সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বক্তৃতাকালে শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করে বলেন, আগস্ট মাস, এ মাসেই আমার ছোট ভাই শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেছিল। আবার এই মাসেই আমার পরিবারের সদস্যদের ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মা অভাব-অনটন বুঝতে দিতেন না। যেদিন ঘরে অন্য খাবার থাকতো না, সেদিন সামান্য চাল-ডালের খিচুড়ি রেধে আচাড় দিয়ে খেতে দিতেন আমাদের। মা বলতেন, আসো আজকে আমরা গরিব খিচুড়ি খাবো, খুব মজা।
তিনি বলেন, ঘরে খাবার না থাকলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অকাতরে সাহায্য করতেন বাবা। দলের কাজকর্ম, আন্দোলন-সংগ্রামে তার প্রয়োজনে নিজের সম্পদ দিয়ে সাহায্য করতেন মা। মা-বাবা কখনো আমাদেরকে অভাব বুঝতে দেননি। কৌশলে সেসব অভাব মেটাতেন আর আমাদেরকে ভিন্নভাবে বোঝাতেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নিজের জন্য কখনো কিছু চাননি মা। অথচ সারাজীবন এই দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এ দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। আব্বার সঙ্গে থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন, এদেশের মানুষ ভালো থাকবে, সুখে-শান্তিতে বাস করবে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাবার পাশে থেকে সে স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছেন। মায়ের আত্মত্যাগ বাবাকে এগিয়ে নিয়েছে বলেই স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা, মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ ও আত্মীয়-স্বজনসহ দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে তিনি শাহাদতবরণ করেন।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কমসূচি পালন করছে। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে বেগম মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে ‘শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণীয়: বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্পাদনায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর বইটি প্রকাশ করেছে।
সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বক্তৃতাকালে শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করে বলেন, আগস্ট মাস, এ মাসেই আমার ছোট ভাই শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেছিল। আবার এই মাসেই আমার পরিবারের সদস্যদের ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মা অভাব-অনটন বুঝতে দিতেন না। যেদিন ঘরে অন্য খাবার থাকতো না, সেদিন সামান্য চাল-ডালের খিচুড়ি রেধে আচাড় দিয়ে খেতে দিতেন আমাদের। মা বলতেন, আসো আজকে আমরা গরিব খিচুড়ি খাবো, খুব মজা।
তিনি বলেন, ঘরে খাবার না থাকলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অকাতরে সাহায্য করতেন বাবা। দলের কাজকর্ম, আন্দোলন-সংগ্রামে তার প্রয়োজনে নিজের সম্পদ দিয়ে সাহায্য করতেন মা। মা-বাবা কখনো আমাদেরকে অভাব বুঝতে দেননি। কৌশলে সেসব অভাব মেটাতেন আর আমাদেরকে ভিন্নভাবে বোঝাতেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নিজের জন্য কখনো কিছু চাননি মা। অথচ সারাজীবন এই দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এ দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। আব্বার সঙ্গে থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন, এদেশের মানুষ ভালো থাকবে, সুখে-শান্তিতে বাস করবে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাবার পাশে থেকে সে স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছেন। মায়ের আত্মত্যাগ বাবাকে এগিয়ে নিয়েছে বলেই স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা, মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ ও আত্মীয়-স্বজনসহ দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে তিনি শাহাদতবরণ করেন।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কমসূচি পালন করছে। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে বেগম মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে ‘শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণীয়: বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্পাদনায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর বইটি প্রকাশ করেছে।
---
বিডিলাইভ২৪
বিডিলাইভ২৪
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়