Thursday, January 21

নৌকায় ভোট চাইলেন শেখ হাসিনা


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: নৌকার পক্ষে ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘নৌকায় শান্তি দেবে। নৌকা সমৃদ্ধি দেবে। নৌকা উন্নতি দেবে। নৌকায় এ দেশের মুক্তি এনে দেবে।’’ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এক জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। এসময় নৌকায় ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার নেন উপস্থিত জনতা। শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের স্বাধীনতা পেয়েছেন। নৌকায় মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজকে দেশের উন্নতি হচ্ছে। আগামী দিনেও নৌকা মার্কাকে কখনো ভুলবেন না। নৌকায় আগামীতে ভোট দেবেন তো। হাত তুলে দেখান। হাত তুলে ওয়াদা করেন। হাত তুলে ওয়াদা করেন যে, নৌকায় ভোট দেবেন।’’ এরপর উপস্থিত জনতা হাত তুলে তাঁকে দেখান। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চে সভাপতির আসনে বসা অর্থমন্ত্রীকে দেখিয়ে বলেন, “আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রীর এখানে বিরাট ভূমিকা রয়েছে। “কাজেই অর্থমন্ত্রী যেখানে আছেন, সেখানে সরকারিকরণে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা না। যেহেতু অর্থমন্ত্রী সাথে আছেন, সেহেতু মদন মোহন কলেজকে সরকারি আমরা করে দিতে পারব।” আবুল মাল আবদুল মুহিত মদন মোহন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দূর করতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন ক্ষমতায় যায়, তখন বোমা হামলা চালায়। সিলেটেও তারা বোমা হামলা চালিয়েছিল। সিলেটে ১০টির বেশি স্থানে তারা বোমা হামলা করেছিল। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।’’ আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশের উন্নয়ন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। আমরা চাই শান্তি, তারা চান অশান্তি।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছিলো। এখন ১০০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি, ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। ৭৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ২০২১ সালে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ যাবে।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যারা পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তাদের ক্ষমা নেই। তাদের বিচার এ বাংলার মাটিতে হবে।’’ জনসভায় অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহবাহ উদ্দিন সিরাজ ও কলেজের অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এর আগে বেলা ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহপরানের মাজার জিয়ারত করতে যান। পরে রিকাবিবাজারে মদন মহন কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এরপর কলেজের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ছয় স্তরের নিরাপত্তাবলয়ের পাশাপাশি নগরীর নির্দিষ্ট কিছু সড়কে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়