Wednesday, December 2

কানাইঘাটে অপরিকল্পিত পাথর উত্তোলন, হুমকিতে লোভাছড়ার বাংলা টিলা


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারী সংলগ্ন মুলাগুল নয়াবাজারের পাশে অবস্থিত এলাকার ঐতিহ্যবাহী সবচেয়ে বড় পাহাড় বেষ্টিত বাংলা টিলা থেকে প্রভাবশালী চক্র কর্তৃক অবৈধ ভাবে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে মাটি খোঁড়ে পাথর উত্তোলনের ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাড়ী ঘর বেষ্টিত বণ বিভাগের মালিকানাধীন বিশাল এ উঁচু পাহাড় বেষ্টিত টিলা থেকে গত তিন মাস ধরে অব্যাহত ভাবে সুড়ং তৈরি করে প্রতিদিন শত শত ফুট পাথর অবৈধ ভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় বণ বিভাগের কর্মকর্তারা প্রভাবশালীদের টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করলেও তারা কোন ধরনের তোয়াক্কা করছে না। সরেজমিনে বুধবার গিয়ে দেখা যায় অবৈধ ভাবে মাটি খোঁড়ে পাথর উত্তোলনের ফলে পাহাড় বেষ্টিত বিশাল বাংলা টিলাটি অরক্ষিত ও ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। বড় বড় শিলা খন্ড ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। শ্যালো মেশিনের সাহায্যে ও মাটি খোঁড়ে টিলা থেকে পাথর উত্তোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এলাকার প্রভাবশালী স্থানীয় কান্দালা গ্রামের আলাউর রহমানের পুত্র আলমাছ উদ্দিন ও তার সহযোগী একই গ্রামের আছদ্দর আলীর পুত্র আছার উদ্দিন এবং টিলার অপর অংশে মাটি খোঁড়ে পাথর উত্তোলন করছেন একই গ্রামের বখতিয়ার আহমদ। তাদের নিয়োজিত পাথর শ্রমিকরা মাটি খোঁড়ে পাথর উত্তোলন করছে। কানাইঘাট নিউজ প্রতিবেদকের অবস্থান টের পেয়ে বাংলা টিলা কেটে পাথর উত্তোলনের মূল হুতা আলমাছ উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে ছিটকে পড়েন। পাশাপাশি পুরো টিলার নিজ অংশে শত শত বড় ধরণের গর্ত তৈরি করে ও মাটি খোঁড়ে পাথর তোলা হচ্ছে। অব্যাহত ভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলনের ফলে টিলার উপরের বিশাল অংশ ঝুলে আছে। যে কোন সময় পাহাড় বেষ্টিত বাংলা টিলাটির বিশাল অংশ ধ্বসে গিয়ে টিলার উপরে বসবাসরত বাড়ী ঘর ধ্বংস ও মানুষের জীবনহানি সহ বড় ধরনের পরিবেশের বিপর্যয় ঘটতে পারে। মুলাগুল নয়াবাজারে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় কান্দলা গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী পাহার বেষ্টিত বাংলা টিলাটি সাউদগ্রাম, মুলাগুল, নয়াবাজার সহ আশপাশের শিা প্রতিষ্ঠান লোভা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করে আসছে। কিন্তু অবৈধভাবে এলাকার আলমাছ উদ্দিন গংরা টিলার পুরো অংশের মাটি খোঁড়ে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখায় যে কোন সময় টিলার বিশাল অংশ লোভা নদীর গর্ভে ধ্বসে গিয়ে সাউদগ্রাম সহ মুলাগুল নয়াবাজার ও আশপাশের এলাকার বড় ধরনের য়তি সাধিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট এ ব্যাপারে অবৈধ ভাবে টিলা থেকে মাটি খোঁড়ে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ইতিমধ্যে তারা অনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার পাথর অবৈধ ভাবে বিক্রি ও পাহাড় কেঁটে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়