“সরকার কাজ করছে, আপনারা সমর্থন করুন”

ঢাকা: চালকল মালিকদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ বলেই আমরা আজ চাল রপ্তানি করতে পারছি। কিন্তু আমরা যদি আমদানির ওপর নির্ভরশীল হতাম তাহলে এত বেশি ও বড় বড় কলকারখানা গড়ে উঠতে পারতো না। সুতরাং যে সরকার দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আমাদের দায়িত্ব হলো সেই সরকারকে সমর্থন করা। কিন্তু আপন বুঝ পাগলেও বুঝলেও আমাদের দেশের মানুষ কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা বোঝে না। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় আমু এসব কথা বলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরে আবারও দেশ খাদ্য খাটতির দেশে পরিণত হয়। ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার। তখন দেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, এখন আমরা খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছি। চালকলগুলো শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি প্রসঙ্গে আমু বলেন, শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়া না দেওয়া সরকারের পলিসির ব্যাপার। তবে আমি একটু বলতে পারি, আপনাদের দাবিগুলো আমলে নেওয়া হলো। খাদ্যমন্ত্রী আপনাদের হয়ে কাজ করছেন। আমি উনাকে সহযোগিতা করবো। বর্তমান সরকারকে কৃষিবান্ধব দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আমার নেপালে চাল রপ্তানি করছি। নেপালে ভূমিকম্পের সময় সাহায্য হিসেবে চাল পাঠিয়েছি। এখন আফ্রিকার দেশগুলোতে চাল রপ্তানির বাজার খোঁজা হচ্ছে। ভারতসহ অন্যান্য দেশে থেকে চাল আমদানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে চাল আমদানির ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক ছিল না। পরে আমরা ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছি। কিন্তু তাপরও চাল আসছে। এখন আমরা এই শুল্ক আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অর্থমন্ত্রী মহোদয় আমাকে জানিয়েছেন, এটা ১০ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ২০ ভাগ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে। সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ প্রমুখ।

খবর বিভাগঃ রাজনীতি

শেয়ার করুন