Wednesday, July 8

কানাইঘাটে ইফতারী প্রথা! “পহেলা ইফতারী” ঘটা করে পাঠাতে হবে


মাহবুবুর রশিদ: ছয়ফুল ইসলাম(ছন্দনাম) (৪৫)। পেশায় একজন কৃষক। অভাব অনটনের সংসার। রমজানের মাস খানেক আগে প্রথম মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। এরই মধ্যে দেখতে দেখতে চলে আসছে পবিত্র রমজান মাস। ছয়ফুল ইসলামের স্ত্রীর আবদার মেয়ের বাড়িতে “পহেলা ইফতারী”ঘটা করে পাঠাতে হবে,তা না হলে মেয়ের মুখ উজ্জল হবেনা শ্বশুর বাড়িতে। এমনিতইে মেয়ে দিয়ে ছয়ফুল ইসলামের হাতে নেই কোন টাকা পয়সা। তার উপর মেয়ের বাড়িতে পাঠাতে হবে ইফতারী এ যেন “মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা”। কি আর করবেন অনেক কষ্ট করে আতœীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা কর্জ করে মেয়ের বাড়িতে ইফতারী দেওয়ার প্রথা রক্ষা করেন। ছয়ফুল ইসলামের মতো ইফতারী প্রথা রক্ষা করতে গিয়ে কানাইঘাটের মধ্যভিত্ত পরিবারগুলোকে নানাভাবে হিমশিম খেতে হয়। কানাইঘাটের অনেক পরিবারের কাছে ইফতারী ঐতিহ্য মনে হলেও মধ্যভিত্ত পরিবারের কাছে যেন আতংকের নাম। রমজানের দ্বিতীয় দিন কানাইঘাট বাজারে ইফতারী কিনতে আসেন নুর উদ্দিন। বড় মেয়ের বাড়িতে ইফতারী পাঠাবেন। বাজারের লিস্টি অনুযায়ী ইফতারী কিনতে শেষ হয়ে যায় পকেটের টাকা। অনেকটা রাগত স্বরে বললেন “কোন পাগলে বার(বের)করছে ইফতারী দেওয়া(পাঠানো) ইসলামও (ইসলাম ধর্মে) আছেনি রমজান মাসে ইফতার পাঠানোর কথা। প্রতিবছর রমজান মাস আসলেই কানাইঘাটে শুরু হয়ে যায় মেয়ের বাড়িতে ইফতারী পাঠানোর ধুম। বড় লোকদের কাছে মেয়ের বাড়িতে ইফতারী পাঠানো অনেকটা আনন্দের মনে হলেও চরম বিপাকে পড়তে হয় মধ্যভিত্ত পরিবারগুলোকে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়