ইসলাম ডেস্ক:
শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম ইসলাম শুধু এর অনুসারীদেরই নয়, অমুসলিমদের অধিকারও রক্ষা করেছে। যেখানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ও যথাযথ অধিকার দিয়েছে ইসলাম। ইসলামের নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত সহনশীল। যুদ্ধাবস্থায়ও ইসলামের নীতি হলো অমুসলিমদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা যাবে না। যুদ্ধের ময়দানে অমুসলিমদের সঙ্গে কী আচরণ করতে হবে, সে নির্দেশনা দিয়ে রাসুল (সা.) স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘শিশুদের হত্যা করবে না। গির্জায় যারা ধর্মীয় উপাসনায় জীবন উৎসর্গ করেছে, তাদের ক্ষতি করবে না। কখনো নারী ও বৃদ্ধদের হত্যা করবে না। কারো গাছপালা, ঘর-বাড়ি কখনো ধ্বংস করবে না।’ ইসলামের নির্দেশনা হলো, একজন মুসলমান রাষ্ট্রীয়ভাবে যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে তা অমুসলিমও পাবে। বিশ্বাস ও আদর্শের কারণে তাকে আঘাত করা যাবে না। প্রজ্ঞা ও কৌশলে যে কোনো অমুসলিমকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়া যাবে; কিন্তু মুসলমান হওয়ার জন্য কোনো ক্রমেই চাপ দেয়া যাবে না। কোরানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘ধর্মের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই।’
রাসুল (সা.) দীর্ঘ সংগ্রামের পর মদিনায় যে ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিলেন, সেখানেও বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা বাস করতেন। তারা তাদের বিশ্বাস ও আদর্শের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা মেনে চলতেন। নানা ধর্ম ও বর্ণের বসবাস উপযোগী করে গড়ে উঠেছিল মদিনার সমাজ ব্যবস্থা। ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিল মদিনার সেই কল্যাণ রাষ্ট্র। রাসুল (সা.) মদিনার প্রত্যেক মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করেন। নবী করিম (সা.) চরম সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন। তিনি চাইলেই মক্কার অমুসলিম পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা না করে চরম শত্র“ মক্কার ইসলামবিরোধী নেতাদের পরম মহানুভবতার সঙ্গে উদারভাবে সর্বজনীন ক্ষমা প্রদর্শন করলেন। ইসলামের নীতি ও আদর্শের আলোকে আমাদের এই দেশেও গড়ে উঠেছে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। ধর্মপ্রাণ কোনো মুসলমান কখনো ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করতে পারেন না। কখনো কখনো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা যে ঘটেনি তা নয়। তবে এর সঙ্গে ধর্মীয় বা আদর্শগত কোনো বিষয় জড়িত নয়। তাই রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে ধর্মীয় সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকা উচিত।
Wednesday, June 10
এ সম্পর্কিত আরও খবর
যে কারণে আল্লাহ জান্নাত দেওয়া ছাড়া সন্তুষ্ট হবেন না নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি ফরজ ইবাদতগুলোকেই কেবল ফজিলতপূর্ণ মনে করা হয়। অথচ হাদিস শরিফে ম
কানাইঘাটে সোনালি ধানের ঘ্রাণে মাতোয়ারা কৃষকমাহবুবুর রশিদ:কানাইঘাটের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে আমনের সোনালী ধান। যতদূর চোখ যায় শুধু সো
আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক যে কারণে আবশ্যক সবচেয়ে বেশি সুসম্পর্ক হবে যার সঙ্গে তিনি হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা। যিনি মানুষকে মায়ের এক অন্ধ
কানাইঘাটে ২ হাজার শীতার্তদের শীতবস্ত্র দিল ইমেজ ফাউন্ডেশন নিজস্ব প্রতিবেদক ::পৌষ মাসের কনকনে শীতের পর এখন শুরু হয়েছে মাঘ মাসের শীতের তীব্রতা। এমন তীব্র শীতে
দেশব্যাপী পলিথিনবিরোধী অভিযান শুরু ১ নভেম্বরকানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিন শপিং
যে সূরা রাতে পড়লে দারিদ্র্য কাছেও ঘেঁষতে পারবে না পবিত্র কোরআনুল কারিমের প্রত্যেকটি সূরার আলাদা আলাদা গুরুত্ব ও ফজিলত আছে। এমনকি একেক বাক্যের আ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়