কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
করল্লা এমন একটি সবজি যা দূর করতে পারে ক্যান্সার, ডায়বেটিস এবং অন্যান্য অনেক মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা। যদিও এর তেতো স্বাদের কারণে কারো মুখে রোচে না, কিন্তু শুধুমাত্র স্বাদের কথা ভেবে স্বাস্থ্যের কথা একেবারে ভুলে বসলেও চলে না।
দ্য নেভাডা সেন্টার অফ আল্টারনেটিভ অ্যান্ড অ্যান্টি এইজিং মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ, ডঃ ফ্রাংক শ্যালেনবার্গার এম.ডি দেখতে পান এই করল্লার রয়েছে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধির প্রতিরোধ ক্ষমতা। এবং তিনি তার রোগীদের এই প্রাকৃতিক ক্যান্সার নিরাময়ের সবজিটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধের জন্য।
তিনি তার নতুন গবেষণায় দেখতে পান করল্লার রস পানিতে মাত্র ৫% মিশ্রিত হয় যা প্রমাণ করে এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। করল্লার প্রায় ৯০%- ৯৮% পর্যন্ত ক্যান্সারের কোষ ধ্বংসের ক্ষমতা রয়েছে। দ্য ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর একটি গবেষণায় দেখা যায় করল্লা অগ্ন্যাশয়ের টিউমার প্রায় ৬৪% কমিয়ে আনতে সক্ষম।
এছাড়াও ডঃ শ্যালেনবার্গার তার গবেষণায় দেখতে পান, উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা, অ্যাজমা, ত্বকের ইনফেকশন, ডায়বেটিস এবং পাকস্থলীর নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে শুধুমাত্র এই একটি সবজি ‘করল্লা’। খুব কম ক্যালরি সমৃদ্ধ করল্লায় রয়েছে পটাশিয়াম, বেটাক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, হাই ডায়াটেরি ফাইবার, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ ও সি, ফোলায়েট, জিংক এবং ফসফরাস।
করল্লা দূর করে আরও ৭ টি শারীরিক সমস্যা
১. পরীক্ষিত ভাবে প্রমাণিত যে করল্লা স্ট্যামিনা ও এনার্জি লেভেল বাড়ায়।
২. গর্ভধারণের প্রাথমিক সময়ে নারীরা করল্লা নিয়মিত খেলে শিশুদের নিউট্রাল টিউব ডিফেক্ট হতে রক্ষা করে।
৩. করল্লার নানা পুষ্টি উপাদান রক্তের সুগারের মাত্রা কমায় এবং টাইপ-২ ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৪. করল্লার রস নিয়মিত পান করার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং নানা ধরণের ইনফেকশনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৫. হজমে সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও করল্লার জুড়ি নেই।
৬. করল্লার রস লিভার পরিস্কারে সহায়ক এবং লিভারকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা উন্নত করে।
৭. নিয়মিত করল্লার রস পানের অভ্যাস সোরাইসিসের অবস্থা উন্নত করে এবং ফাঙ্গাস জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
যেভাবে খেতে পারেন করল্লা
বাজার থেকে ভালো করল্লা কেনার পর ঠাণ্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নরম ব্রাশ দিয়ে আলতো ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
১. যে কোনো আমিষ খাবারের সাথে বা অন্যান্য সবজির সাথে ভাজি করে খেতে পারেন।
২. করল্লার শুকনো গুঁড়ো তৈরি করে রেখে আইসড ও দুধ চায়ে মিশিয়েও পান করতে পারেন।
৩. আচার তৈরি করে খেতে পারেন।
৪. শুধু করল্লার রস দিয়ে জুস তৈরি করে পান করতে পারেন।
সূত্র: ওয়েবসাইট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়