Friday, March 27

ভিক্ষুকদের ব্যাংক, গ্রাহকও ভিক্ষুক


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: তাঁদের কথা কেউ ভাবে না... তাঁদের রুজি-রোজগার বাটিতে বা শাড়ির আঁচলে জমা হওয়া কিছু খুচরো পয়সা। সারা দিনের পর যা যোগ করলে হয়তো দিন শেষে এক মুঠো খাবার জোটে। কোনওদিন আবার সেটুকুও বরাতে থাকে না। রাস্তায় তাদের দেখে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের রীতি হয়ে গিয়েছে। এবার যদি বলি এ হেন ভিখারিদেরও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে? না, এটি কোনো ধনী রাষ্ট্রে নয়। আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্য বিহারে। আর কোনও মহানুভব সমাজ কর্মীর জন্যে এমনটা সম্ভব হয়নি। সম্ভব হয়েছে গুটি কয়েক ভিখারির জন্যেই! একটু গোলমেলে ঠেকছে? না এখানে গোলমেলে কিছুই নেই। যা আছে, সেই কথা শুনলে তাক লেগে যাবে। বিহারের গয়া শহরে, একদল ভিখারি একসঙ্গে হয়ে খুলে ফেলেছেন তাঁদের নিজস্ব ব্যাংক। সেটা তাঁরা নিজেরাই দেখভাল করেন এবং চালান। কোনও সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে যাতে সহ-ভিখারিদের অথৈ জলে পড়তে না হয়, তাই এই ব্যবস্থা। বছরের পর বছর ধরে গয়া শহরের মা মঙ্গলগৌরি মন্দিরের সামনে যে সব ভিখারিরা সাহায্যের আশায় হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, তারাই একত্রিত হয়ে এই অসাধ্য সাধন করেছেন। এই ব্যাংকের নামকরণ তাঁরা করেছেন মঙ্গলা ব্যাংক। যে ৪০ জন ভিখারি মিলে এই ব্যাঙ্কটি তৈরি করেছেন, তাঁদের মধ্যে রাজকুমার মাঞ্ঝি এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। এই ব্যাঙ্কের সব কর্মচারি, সে ম্যানেজার হন বা ট্রেজারার কিংবা সেক্রেটারি অথবা এজেন্ট সবাই ভিখারি। রাজকুমার মাঞ্ঝি-ই এই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। না, অশিক্ষিত তিনি একেবারেই নন। বরং ব্যাংকের প্রাথমিক অ্যাকাউন্টের কাজ চালাতে তিনি দিব্যি পারেন। প্রতিদিন প্রতি ভিখারি রোজগারের টাকা থেকে কুড়ি টাকা করে ব্যাংকে জমা রাখেন। সপ্তাহ শেষে তা গিয়ে দাঁড়ায় মাথাপিছু ১৪০ টাকায়!

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়