Thursday, March 26

নিরাপদ-পরিচ্ছন্ন ঢাকা চাই


ঢাকা: আগামী ২৮ এপ্রিল ভোটাররাই ঠিক করবেন কে হবেন নগরপিতা। নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। উৎসব মুখর পরিবেশে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। এরই মধ্যে মাঠে ঘাটে দেয়ালে প্রার্থীদের পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। চায়ের আড্ডায় আলোচনার টেবিলে বইছে ভোটের হাওয়ায়। নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজধানী ঢাকা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কি পারবেন দীর্ঘ দিন ধরে চলা এসব সমস্যা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে। কথা হয় রাজধানীর গ্রীন রোডের ভূতের গলির বাসিন্দা নাজমুল হোসেনের সঙ্গে। এ ব্যবসায়ী ঢাকাটাইমসকে বলেন,আমরা পরিচ্ছন্ন ঢাকা চাই। এখন ঢাকার যা অবস্থা তাতে আমরা অস্বস্তি বোধ করছি। মন চায় ঢাকা ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করি। রাস্তায় আবর্জনা যানজট, চুরি ছিনতাই, নিরাপত্তহীনতা থেকে শুরু করে যত্রতত্র রাস্তা খোড়াখুড়ির দুর্ভোগ আমাদের নিত্য দিনের। মেয়ররা ভোটের আগে এসব সমস্যা মোকাবেলায় নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়না। তাই কে মেয়র হলো তাতে আমাদের খুব একটা আগ্রহ নেই। তবে নির্বাচন হতে হবে ভোটও দিতে হবে তাই নির্বাচনে দিন ভোট কেন্দ্রে যাবে ভোট দিয়ে আসবো। দীর্ঘদিন পর ঢাকা সিটিতে নির্বাচন হচ্ছে- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকদিন ঢাকা অভিভাবকহীন ছিল। আমরা যদি গণতান্ত্রিক উপায়ে একজন অভিভাবক পাই তাহলে তিনি সাধ্যমত কাজ করবেন সে আশা করছি। নিউ মার্কেট এলাকার পান বিক্রেতা নান্নু মিয়ার আশা, ভবিষ্যত নগরপিতা খেটে খাওয়ার মানুষের কথাও মনে রেখে ঢাকায় তাদের থাকার ও আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করবেন। তবে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “নগরপিতা যেই হোক আমাগো কোনো কিছু করবো না।” হেরা শুধু বড়লোকদের জন্যই ভাবে। হেরা ও ঢাকায় থাহে আমরাও সবাইরে লইয়া এহানে থাহি। তারা থাহে বড় বড় বিল্ডিংয়ে আর আমরা থাহি বস্তিতে। যত উন্নয়ন সবই তো তাগো জন্য। নির্বাচন নিয়ে কথা হয় রাজধানীর ঢাকার ভোটারদের সঙ্গে। স্থান পাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম দূষিত নগরী হিসেবে দুর্নাম আছে ঢাকার। তার ওপর যানজট, খোড়াখুড়ি, রাস্তার মাঝখানে উন্মুক্ত ডাস্টবিন, দুর্গন্ধযুক্ত পানি, গণপরিবহন সংকট, হকারদের দাপটে বেদখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত মিলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে এ নগরী। রাজধানীবাসীর প্রত্যাশা, দায়িত্ববান নগরপিতারাই পারেন এ নরককে বাসযোগ্য করে তুলতে। তাই আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এমন প্রার্থীরাই যেন বিজয়ী হন, সে কামনাই করছেন তারা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ নামে সিটি দুইভাগ হওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুষ্ঠ, প্রতিযোগিতামূলক ও আনন্দমুখর নির্বাচন চান তারা। একইসাথে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনস্বার্থেই কাজ করবেন এ প্রত্যাশা তাদের। রাজধানীর গ্রীন রোডের ভূতের গলির বাসিন্দা নাজমুল হোসেনের সঙ্গে। এ ব্যবসায়ী ঢাকাটাইমসকে বলেন,আমরা পরিচ্ছন্ন ঢাকা চাই। এখন ঢাকার যা অবস্থা তাতে আমরা অস্বস্তি বোধ করছি। মন চায় ঢাকা ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করি। রাস্তায় আবর্জনা যানজট, চুরি ছিনতাই, নিরাপত্তহীনতা থেকে শুরু করে যত্রতত্র রাস্তা খোড়াখুড়ির দুর্ভোগ আমাদের নিত্য দিনের। মেয়ররা ভোটের আগে এসব সমস্যা মোকাবেলায় নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়না। তাই কে মেয়র হলো তাতে আমাদের খুব একটা আগ্রহ নেই। তবে নির্বাচন হতে হবে ভোটও দিতে হবে তাই নির্বাচনে দিন ভোট কেন্দ্রে যাবে ভোট দিয়ে আসবো। দীর্ঘদিন পর ঢাকা সিটিতে নির্বাচন হচ্ছে- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকদিন ঢাকা অভিভাবকহীন ছিল। আমরা যদি গণতান্ত্রিক উপায়ে একজন অভিভাবক পাই তাহলে তিনি সাধ্যমত কাজ করবেন সে আশা করছি। নিউ মার্কেট এলাকার পান বিক্রেতা নান্নু মিয়ার আশা, ভবিষ্যত নগরপিতা খেটে খাওয়ার মানুষের কথাও মনে রেখে ঢাকায় তাদের থাকার ও আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করবেন। তবে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “নগরপিতা যেই হোক আমাগো কোনো কিছু করবো না।” হেরা শুধু বড়লোকদের জন্যই ভাবে। হেরা ও ঢাকায় থাহে আমরাও সবাইরে লইয়া এহানে থাহি। তারা থাহে বড় বড় বিল্ডিংয়ে আর আমরা থাহি বস্তিতে। যত উন্নয়ন সবই তো তাগো জন্য। নয়তো কমলাপুরের বস্তি আর গুলশান আবাসিক এলাকার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য কিভাবে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জিয়া উদ্দিন অবশ্য ঢাকাকে উন্নত নগরীর তালিকায় দেখতে চান। তিনি বলেন, দেশ এগোচ্ছে বলে শুনছি। কিন্তু ঢাকাকে দেখে মন হয় আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। তাই নির্বাচিত নগরপিতাসহ অন্যান্যদের ঢাকার অবস্থা পরিবর্তনে কাজ করা দরকার বলে জানান তিনি। তবে আগামীর ঢাকা যেন নিরাপদ হয় এমন প্রত্যাশা নারী ভোটারদের। রেবেকা আক্তার নামের এক চাকরীজীবি নারী বলেন, ঢাকায় যাতায়াতটাই বড় সমস্যা, বিশেষ করে নারীদের জন্য। বাসে ভিড় ঠেলে উঠতে পারি না, আবার সংরক্ষিত আসন পূর্ণ হয়ে গেলে গাড়িচালকরাই তুলতে চায় না। তারপরও প্রতিদিন যুদ্ধ করে কাজে যেতে হয়। তিনি বলেন, ঢাকা যেহেতু এখন দুইভাগ, দুই মেয়রই যেন একসাথে পরিবহন সমস্যা নিরসনে কাজ করেন- এমনটিই আমাদের আবেদন। রাতে চলাচল করতে নিরাপদ বোধ করেন না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মতিঝিল থেকে অফিস শেষে মিরপুরের বাসায় ফিরতে বেশিরভাগ সময়ই যানজটের কারণে সন্ধ্যা হয়ে যায়। গাড়ি না পেলে রীতিমত রাত। তার দাবি, সড়কে পুলিশি টহল বাড়িয়ে নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হোক। সাদ্দাম হোসেন নামের এক নিরাপত্তা কর্মী ভবিষ্যত নগরপিতাদের খাওয়ার পানি সমস্যা নিরসনে কাজ করার দাবি জানালেন। এসব প্রত্যাশা, আবেদন, দাবি মিলে রাজধানীবাসীর কামনা একটাই, ঢাকা যেন বাসযোগ্য হয়। এদের অনেকেই আবার ঢাকার ভোটার নন। তবে নগরপিতারা ঢাকার উন্নয়নে কাজ করলে তা শুধু ভোটার বা রাজধানীবাসীর জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না, বরং পুরো দেশের জন্য উদহারণ হওয়ার সুযোগ আছে তাদের সামনে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়