Thursday, February 12

নজর কাড়ুন চুল দিয়ে


অমৃত মলঙ্গী: পরেছেন ফ্যাশনেবল পোশাক। তবে চুলে সেই জাদু নেই। এমন হলেই কিন্তু অপরের কাছে আপনি গণ্য হবেন ‘সব ঠিকঠাক ভেতরে সদরঘাট’ হিসেবে। তাই মুখের আকার আর চুলের ধরন বুঝে বেছে নিতে হবে মানানসই হেয়ার স্টাইল। বয়স, পেশা বা শারীরিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে সাধারণত ছেলেদের হেয়ার স্টাইল নির্বাচন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে চুলের ধরন, গায়ের রঙ বা লাইফ স্টাইলের বিষয়টির প্রতিও। আবার গরমের সময় চুল একটু ছোট রাখলে যেমন সেটা আরামদায়ক তেমনি শীতের সময় লম্বা চুলের যতœ নিতে হয় বেশি। আর যদি করপোরেট চাকরির সঙ্গে যুক্ত হন তাহলে আপনার হেয়ার স্টাইল নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ব্যাচেলর বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী তরুণদের হেয়ার স্টাইল আর করপোরেট চাকরিজীবীদের হেয়ার স্টাইল হবে আলাদা। আবার শুধু স্টাইল করলেই হবে না, নিয়মিত চুলের যতœ নেওয়াটা অতি জরুরি। ছেলেদের হেয়ার এক্সপার্টরা বলছেন, এখনকার দিনে লেয়ার, ক্রু, ক্ল্যাসিক ও চপি কাট, ক্ল্যাসিক ট্যাপার, ওয়েভি বা ঢেউ খেলানো, স্পাইক ও ইমো কাট প্রভৃতি হেয়ার স্টাইল বেশি চলছে। আবার আজকাল অনেকেই চুলে জেল ব্যবহার করছেন। চুলে ¯েপ্র করাটাও এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। এতে চুল যেমন নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তেমনি দৃষ্টিনন্দন স্টাইলিস্টও দেখা যায়। কেউ কেউ চুল রিবন্ডিংও করছে। আমাদের দেশে চুলের নানা ধরনের কাটের মধ্যে বেশি চলছে লেয়ার কাট ও স্পাইক। লেয়ার কাটের ধরনটা হলো পেছনের দিকে একটু ছোট এবং কানের দুই পাশে একটু ঢেকে ছোট করে কাটা। আর সামনের চুল খুব ছোটও থাকবে না আবার খুব বড়ও থাকবে না। মোটামুটি সব বয়সের ছেলেদেরই এ ধরনের চুলের কাট মানাবে। স্পাইক কাটও এখন তরুণদের কাছে সমান জনপ্রিয়। অনেকে শুধু সামনের অংশ স্পাইক করছেন। যাদের মুখ কিছুটা গোল, তারা কানের দুই পাশের চুল একটু ছোট রাখতে পারেন। এতে মুখটা ভালোমতো ফুটে উঠবে। একইভাবে যাদের মুখ কিছুটা লম্বা ধরনের, তারা কানের দুই পাশে কিছুটা চুল রেখে দিলে ভালো মানাবে। ক্ল্যাসিক ট্যাপার হেয়ার স্টাইল নিতে হলে থাকতে হবে মাঝারি লম্বা চুল। এই স্টাইল করতে মাথার পেছনে ও কানের ওপরের চুল খাটো করে কাটা হয়। কিন্তু কপালের চুল রাখা হয় লম্বা, যাতে চুলগুলো কপালের ওপর ছড়িয়ে রাখা যায় বা ব্যাক ব্রাশ করা যায়। ক্রু কাটেও ছেলেদের বেশ স্টাইলিশ দেখায়। এই স্টাইলটি গত কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এই হেয়ার কাটে মাথার পিছনের দিকে ও পাশের চুলগুলো ছোট ছোট করে কাটা হয় এবং সেখান থেকে ওপরের দিকে ক্রমান্বয়ে চুল বড় ও কিছুটা খাড়া হয়ে থাকে। যে ছেলেরা খুব বেশি খেলাপ্রিয় তাদের কাছে বাজ কাট বেশ পরিচিত। তবে খেলোয়াড় ছাড়াও সৈনিকদের মধ্যেও এই স্টাইলটি বেশি জনপ্রিয়। এই কাটে চুল ট্রিমার মেশিনে কাটাতে হয়। এই কাটে চুলের দৈর্ঘ্য খুব ছোট থাকে। মাত্র এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ দৈর্ঘ্য হয় চুলের। ইদানীং ফেড কাটটিও বেশ জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। এই স্টাইলে পেছনে ও কানের ওপরে চুল একদমই থাকে না এবং কানের এক ইঞ্চি ওপর থেকে চুল কাটা শুরু হয় এবং পেছনে মাথার অর্ধেক ওপর থেকে চুল কাটা হয়। ক্ল্যাসিক কাট বেশ পুরনো একটি স্টাইল। ফর্মাল পোশাকের সঙ্গে এই স্টাইলটি সবচেয়ে ভালো মানায়। এই স্টাইলে চুল একদিকে সিঁথি করে আঁচড়াতে হয়। চেহারায় মার্জিত একটা লুক এনে দেওয়ার জন্য চুলের এই স্টাইলটি সবচেয়ে ভালো। চুলের কাট যেমনই হোক না কেন, কাটার পর অবশ্যই ভালো করে চুলের যতœ নিতে হবে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার অথবা হেয়ার প্রোটিন ব্যবহার অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করুন। ----ঢাকাটাইমস

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়