Wednesday, January 7

সিলেটে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে অবরোধ চলছে


সিলেট: সারা দেশের মত সিলেটেও ভাংচুর আর অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে চলছে টানা দ্বিতীয় দিনের অবরোধ। বুধবার সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে অবরোধকারীরা। এসময় তারা মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর আম্বরখানা এলাকায় মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিল থেকে ৮/১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন দেয় তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুইটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে অবরোধের কারণে নগরীর অভ্যন্তরে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও ভাড়া দুই থেকে তিন গুণ আদায় করা হচ্ছে। এতে যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অবরোধের কারণে গতকালের মতো বুধবারও সকাল থেকেই দক্ষিণ সুরমার কদমতলী কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল ও কুমারগাও বাসটার্মিনাল ছিল যাত্রীশূন্য। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে সারি সারি বাস ছিল। কিন্তু দূর পাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রীদের অপেক্ষায় ছিল বাসচালকরা। কিন্তু যাত্রী না থাকায় তারা বাস ছাড়েননি। বাস শ্রমিক নেতারা জানান, বাসটার্মিনাল যাত্রীশূন্য। যাত্রী থাকলে বাস চলাচলে তাদের কোনো আপত্তি নেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেড়াতে আসা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর সিলেটের বাইরে থেকে গত ৩ দিন আগে আসা বাসচালক ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরাও দুর্ভোগে সময় কাটাচ্ছেন। তারা আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে অলস সময় পার করছেন। এ কারণে অনেকেই ইতোমধ্যে আর্থিক সংকটে পরেছেন বলে জানিয়েছেন। অবরোধের কারণে বাসটার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। আর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে রেলওয়ে স্টেশনেও যাত্রীদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। সিলেট জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক ঢাকাটাইমসকে জানান, অবরোধের কারণে যাত্রী সংখ্যা খুব কম বাসটার্মিনালে। আমরা যাত্রী পেলে বাস ছাড়বো; শ্রমিকদেরও পরিবার রয়েছে। গাড়ি না চললে এদের পরিবার বাঁচবে কিভাবে। আমাদের কোনো গাড়ি ভাংচুর করা হলে ক্ষয়ক্ষতি সরকার দেবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়