Tuesday, December 23

দুর্নীতি মামলায় খালেদা কাল আদালতে যাবেন


ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের দুটি দুর্নীতি মামলায় বুধবার আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের ওই মামলায় তাঁর যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এদিকে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর এই দুই মামলায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর ওই বিশেষ জজ যোগদান করে বিচারকাজও শুরু করেছেন। আবু আহমেদ জমাদার আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মতামত) ছিলেন। এর আগে ওই আদালতের বিচারক ছিলেন বিচারক বাসুদেব রায়। গত ১৯ মার্চ তিনি দুই মামলায় খালেদা ও তারেক রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর থেকেই এ বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আসছে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওই অনাস্থার মধ্যেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন তিনি। গত ২২ সেপ্টেম্বর ১, ৮ ও ১৭ ডিসেম্বর বাদীর আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপরই গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে বদলি করে আবু আহমেদ জমাদারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও মামলা ২টিতে খালেদা জিয়া ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ও ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, ওই বছর ১১ অক্টোবর এবং চলতি বছর ২১ মে ও ৩ সেপ্টেম্বর ও ৯ নভেম্বর আদালতে হাজিরা দেন। খালেদা ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অপর ৫ আসামি হচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্রের বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও তার সাবেক একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি। উল্লেখ, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্রের ওই মামলায় একই বিচারক গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে ২১ এপ্রিল প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন। আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার আবেদন বিচারাধীন থাকার কারণে এরপর ৯ বার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ঠিক করা হয়। এতিমদের জন্য বিদেশী থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট দুদকের দায়ের করা এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়