কানিউজ ডেস্ক :
বিপজ্জনক বললেও কম হয়। মুম্বই থেকে রওনা হওয়া জেট এয়ার ওয়েজের বিমান হঠাৎই ৫০০০ ফুট নিচে নেমে আসে। পরিভাষায় যাকে বলা হয় ফ্রি-ফল। ঘটনাটি ঘটে টাকি তুরস্কের আঙ্কারা আকাশসীমায়। সেই সময় বোইং ৭৭৭-এর বিমানচালক স্বপ্নের দেশে। অপর পাইলট মগ্ন নিজের ট্যাব নিয়ে। আর তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্লেনের যাত্রীরা।
এতে যা হওয়ার তাই। উড়োজাহাজটি সোজা পাঁচ হাজার ফুট নিচে গোত্তা। তবে নিশ্চিত ধ্বংস থেকে শেষ রক্ষা হয়েছে। ঘুম থেকে ধড়মড়িয়ে জেগে উঠে সহকারীকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন পাইলট।
ঘটনার তদন্তে জানা যায়, ফ্লাইটটির পাইলট ঘুমিয়ে পড়েছিলেন! আর কো-পাইলট দায়িত্ব না নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ট্যাব নিয়ে। আর তাতেই এ বিপত্তি।
জানা যায়, প্লেনটি যখন হঠাৎ করে তার নির্ধারিত উচ্চতা ৩৪ হাজার ফিট থেকে ২৯ হাজার ফিটে নেমে আসে, তখন এটি তুরস্কের আঙ্কারা আকাশসীমায় অবস্থান করছিল। তবে বিষয়টি পাইলট বা কো-পাইলট কেউই আঙ্কারা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জানান নি। প্লেনটির হঠাৎ উচ্চতা পরিবর্তন ভাবিয়ে তোলে আঙ্কারা এটিসিকে।
এদিকে, ঘটনার পাঁচদিন পর ভারতের ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত হয়। এরপর এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া এয়ারলাইন্সটির ট্রেনিং পদ্ধতিও যাচাই-বাছাইয়ের কথা জানিয়েছে ডিজিসিএ।
অপরদিকে, প্লেনটি কি কারণে হঠাৎ পাঁচ হাজার ফিট নিচে নেমে গেল এবং কো-পাইলট বিষয়টি কেন টের পেলেন না সে বিষয়ে কাজ করছে এয়ারলাইন্সটি। এ জন্য তারা অভ্যন্তরীণভাবে তদন্তের ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ।
নিয়মানুযায়ী, কোনো প্লেন তার নির্ধারিত উচ্চতা পরিবর্তন করলে তা অন্য প্লেনকে অবগত করতে হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাটি কোনো পাইলট কর্তৃপক্ষকে অবগত না করায় তারা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার বিষয়টি জানার পর তাদের দু’জনকেই সব কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়