Tuesday, August 12

ভেঙে যাওয়া ঘরে ফিরছে গাজাবাসী


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক : মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে করতে অনেকে এখন ক্লান্ত। কখন গ্রেনেড আছড়ে পড়বে, কখন মৃত্যু আসবে – এইসব চিন্তার প্রহর কাটিয়ে যারা বেঁচে আছেন, তারা এখন বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। ফিরতে শুরু করেছেন ইসরাইলি ‘দস্যু’দের রকেটের আঘাতে ভেঙে যাওয়া ঘরে। তবে অধিকাংশই বিধ্বস্ত পৈতৃকভিটায় এক পলক চোখ রেখেই ফিরে আসার কথা বলছেন আশ্রয়শিবিরে। সারাদিন সেখানে কাটালেও রাতে তাদের থাকতে মন সায় দেয় না। যদি আবার মৃত্যু নেমে আসে! হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন দফায় ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গতকাল সোমবার থেকে এমন কয়েকজন ঘরমুখো মানুষকে চোখে পড়েছে। মিসরের রাজধানী কায়রোতে কয়েক দিনের চেষ্টার পর গত রবিবার ইসরায়েল ও হামাসকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো হয়। এরপর স্থানীয় সময় রবিবার মধ্যরাত (গ্রিনিচ মান সময় রাত নয়টা) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। অবশ্য যুদ্ধবিরতি শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি রকেট ছোঁড়ার দাবি করেছে হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েলও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজায় বিমান হামলা চালায়। যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে উত্তর গাজায় এক ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করে। হিকমাত আত্তা নামে এক ৫৮ বছর বয়সী আল জাজিরাকে বলেন, ‘বাড়ি যেতে ভীষণ মন চায়। কতদিন ঘর ছেড়েছি তা আর মনে নেই। আমরা আমাদের ঘর দেখতে ফিরে যেতে চাই।’ ‘সেখানে শুধু মাত্র দিনটুকু থাকতে চাই। রাতে আবার শিবিরে ফিরে আসব।’ বলেন আত্তা। গাজায় এক মাসের বেশি সংঘাতের সময় এক হাজার ৯৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি ও ৬৭ ইসরায়েলিকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়