চট্টগ্রাম : রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দেশের প্রথম অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্কের (পক্ষীশালা ও বিনোদন কেন্দ্র) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুবিশাল ব্যতিক্রমী বিনোদন, প্রকৃতি, বন্যপ্রাণী সংরক্ষনমুলক পার্কের উদ্বোধন করেন। এই পার্ক উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রামে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ও পক্ষীশালা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বিপুল কৃষ্ণ দাশ, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগীয় কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান মুকুল, উপ বন সংরক্ষক মোল্লা মিজানুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিশাদ, উত্তর বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ কায়চার, চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগীয় কর্মকর্তা সুনীল কুমার কু-ু, ঝুম নিয়ন্ত্রন বন বিভাগীয় কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল সরকার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া পৌর মেয়র আলহাজ্ব খলিলুর রহমান চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা সাদেকুন নুর শিকদার, শাহজাহান শিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, আকতার হোসেন খান, শেখ ফরিদ চৌধুরী, আবু তাহের, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন রাঙ্গুনিয়ায় দেশের প্রথম বাংলাদেশে প্রথম ও অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্কের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সারা বিশ্বে নতুন রূপে পরিচিত হবে। রাঙ্গুনিয়া হবে দেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। ড. হাছান মাহমুদ বলেন পার্কের ভিতরে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবলকার স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পার্ক এলাকায় কৃত্রিম লেক তৈরিসহ, পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল তৈরির আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করেছে বন বিভাগ। এই অ্যাভিয়ারী পার্কটিই হবে দেশের বৃহত্তম, সর্বাধুনিক, ব্যতিক্রমী ও আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন কেন্দ্র। এই পার্কটি দেশি-বিদেশী পর্যটক আকর্ষনে সক্ষম হবে। উদ্বোধনের পর পার্কটি জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রথম এক মাস পার্কে প্রবেশ, ক্যাবল কারে ভ্রমন এবং অন্যান্যে বিনোদন গ্রহনের জন্য কোন ধরনের টাকা দিতে হবে না। বিনামুল্যে পর্যটকরা এই পার্কে পুরো এক মাস বিনোদন সুবিধা ভোগ করবেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক কৃষ্ণপদ সাহা জানান, দেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত এটি এমন একটি পার্ক যেখানে শুধুমাত্র পাখি ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষনের জন্য একটি অভয়ারন্যভিত্তিক বৃক্ষ আচ্ছাদিত সবুজ পাহাড়ি বনে হাজার হাজার বুনো পাখি উড়ে বেড়াবে। তাদের কলতানে মুখরিত হবে সবুজ বন। আর বুনো পথে ঘুড়ে বেড়াবে বিনোদন প্রেমি মানুষ। আকাশ পথে ক্যাবল কারে চড়ে দেখতে পারবে নিচের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। এটি হবে দেশের ব্যতিক্রমী প্রাকৃতিক, অত্যাধুনিক এবং আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র। কোদালা বনবিটের ২১০ হেক্টর বনভুমিতে পার্ক এলাকার ব্যাপ্তি। পার্কের অভ্যান্তরে অন্যান্য বৃক্ষের পাশাপাশি বট, অশ্বথ, পাকুর, আমলকি, ডুমুর, ইত্যাদি পাখি খাদ্য ও বিভিন্ন ফল ফলাদির বৃক্ষচারা বনায়নে বাগান সৃজন ও পাখিকুলের প্রাকৃতিক খাদ্যের ব্যবস্থার মাধ্যমে পাখিদের অভয়রণ্যর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়