Thursday, November 7

১৫২ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘিত: জাতিসংঘ

ঢাকা : বিডিআর হত্যাকান্ড মামলার রায়ে একসাথে ১৫২ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে সরকারকে সকল মামলার রায় পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। 

বুধবার জাতিসংঘ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার নেভি পিল্লাই এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে নেভি পিল্লাই বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সময় যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল তা নৃশংস ও জঘন্য। এ ঘটনার শিকার যেসব পরিবার তাদের প্রতি আমি সহানুভূতিশীল। কিন্তু কয়েকশ ব্যক্তির গণবিচার, নিরাপত্তা হেফাজতে সন্দেহভাজনদের নির্যাতন এবং তাদেরকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার অর্জিত হবে না। এ সব ঘটনার ফলে বিচার প্রক্রিয়াটি ন্যায় বিচারের আন্তর্জাতিক মানদন্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

জাতিসংঘের হাই কমিশনার বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান, এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে নতুন করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য। তিনি বলেন, তদন্ত জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। যারা প্রকৃতপক্ষে দায়ী তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

মঙ্গলবার ঢাকায় বিশেষ আদালত ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকান্ড মামলায় ১৫২ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং ১৬১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে। হত্যাকান্ডটি ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের (বর্তামানে বিজিবি) পিলখানার সদর দপ্তর সংঘটিত হয়। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

একই বিবৃতিতে হাই কমিশনার নেভি পিল্লাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটি) সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ১৯৭১ সালে যে নৃশংসতা ঘটেছিল তার বিচারের জন্য আইসিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যদি সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় বাংলাদেশে তাহলে বিচারের মানদন্ড হতে হবে 

উচ্চমানের। এ পর্যন্ত ওই আদালত ১০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে ৭ জনকেই দেয়া হয়েছে মৃত্যুদন্ড। এ ক্ষেত্রে সুষ্ঠু বিচার নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেকোনো অবস্থায়, এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মারাত্মক অপরাধের ক্ষেত্রেও শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের বিরোধী জাতিসংঘ। আইসিটি যেসব মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছে তা কার্যকর না করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের হাই কমিশনার।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়