পিরোজপুর : দক্ষিনাঞ্চলে ধানের পরেই দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল হিসাবে সুপারির স্থান। লাভজনক, অর্থকরী ফসল হিসাবে এ অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে কমবেশি সুপারির চাষ হয়।
পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে বছরে প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাঁচা ও পাঁকা সুপারি চালান হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। শুধু দেশেই নয়, এ সুপারি যাচ্ছে দক্ষিন এশিয়াসহ অনেক দেশে। উপজেলার পত্তাশী, চন্ডিপুর, বালিপাড়া, পাড়েরহাট, লাহুরী, ঘোষের হাট এবং জিয়ানগর সদরে সপ্তাহে দু’দিন করে সুপারির পাইকারী বাজার বসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মোকাম পত্তাশী ও চন্ডিপুর হাট। এই ৭টি বাজারের প্রতি হাটে গড়ে মোট ৩০-৪০ লাখ টাকার সুপারি কেনা বেচা হয়ে থাকে। হাটের দিন সকাল থেকেই এসব বাজারে শত শত সুপারী উৎপদন চাষীরা বস্তা ও ঝুড়িতে করে সুপারি নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। এ বেচা বিক্রি চলে সকাল থেকে প্রায় সন্ধা পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় পাইকার, মহাজনরা আসেন এসব হাটে সুপারি কিনতে। সারাদিনের কেনা বেচা শেষে ক্রয়কৃত সুপারী বস্তা বন্ধিকরে লঞ্চ, ট্রলার আবার কেউ ট্রাক যোগে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সুপারি চালান করেন। কেউ আবার সুপারি কিনে শুকিয়ে টাডি তৈরী করে মজুদ রেখে পরে বিক্রি করে থাকেন। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন কম হলেও দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে দি¦গুনেরও বেশি। এবারে তুলনামূলক দাম বেশি থাকায় চাষীরাও বেশ খুশি। সুপারি মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কুড়ি (২১০টি) পাকা সুপারি স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪’শ টাকা দরে। তবে কোরবানির ঈদের পর হঠাৎ করে বাজার মূল্যতে মন্দাভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। দাম কমে প্রতি কুড়ি (২১০)টি অর্ধেকে অর্থ্যাৎ ২শ থেকে আড়াই’শ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। যা গত বছরে ছিল সর্বোচ্চ ১শ থেকে দেড়’শ টাকার মধ্যে। এদিকে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের প্রলয়ংকরী ঘুর্নিঝড় সিডরে দক্ষিনাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর মধ্যে গাছ পালার (নারকেল-সুপারি) ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। আর এ কারনে ফল-ফলাদীর উৎপাদনে এর প্রভাব পড়েছে।
বে-সরকারী হিসাবে দেখা গেছে, সিডরের কারনে বড় বড় গাছ পালা উপড়ে, ডাল ভেঙ্গে চাপা পড়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ সুপারি গাছ বিনষ্ট ও মারা যায়। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ হয় আরো প্রায় ২৫ শতাংশ গাছ। পাইকারী ব্যবসায়ী আঃ হালিম জানান, এ বছর সুপারির বাজার দর অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তাই চাষীরা দাম বেশি পাওয়ায় সকলেই বেশ খুশি।-----সৈয়দ মাহফুজ রহমান(ডিনিউজ)
পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে বছরে প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাঁচা ও পাঁকা সুপারি চালান হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। শুধু দেশেই নয়, এ সুপারি যাচ্ছে দক্ষিন এশিয়াসহ অনেক দেশে। উপজেলার পত্তাশী, চন্ডিপুর, বালিপাড়া, পাড়েরহাট, লাহুরী, ঘোষের হাট এবং জিয়ানগর সদরে সপ্তাহে দু’দিন করে সুপারির পাইকারী বাজার বসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মোকাম পত্তাশী ও চন্ডিপুর হাট। এই ৭টি বাজারের প্রতি হাটে গড়ে মোট ৩০-৪০ লাখ টাকার সুপারি কেনা বেচা হয়ে থাকে। হাটের দিন সকাল থেকেই এসব বাজারে শত শত সুপারী উৎপদন চাষীরা বস্তা ও ঝুড়িতে করে সুপারি নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। এ বেচা বিক্রি চলে সকাল থেকে প্রায় সন্ধা পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় পাইকার, মহাজনরা আসেন এসব হাটে সুপারি কিনতে। সারাদিনের কেনা বেচা শেষে ক্রয়কৃত সুপারী বস্তা বন্ধিকরে লঞ্চ, ট্রলার আবার কেউ ট্রাক যোগে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সুপারি চালান করেন। কেউ আবার সুপারি কিনে শুকিয়ে টাডি তৈরী করে মজুদ রেখে পরে বিক্রি করে থাকেন। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন কম হলেও দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে দি¦গুনেরও বেশি। এবারে তুলনামূলক দাম বেশি থাকায় চাষীরাও বেশ খুশি। সুপারি মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কুড়ি (২১০টি) পাকা সুপারি স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪’শ টাকা দরে। তবে কোরবানির ঈদের পর হঠাৎ করে বাজার মূল্যতে মন্দাভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। দাম কমে প্রতি কুড়ি (২১০)টি অর্ধেকে অর্থ্যাৎ ২শ থেকে আড়াই’শ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। যা গত বছরে ছিল সর্বোচ্চ ১শ থেকে দেড়’শ টাকার মধ্যে। এদিকে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের প্রলয়ংকরী ঘুর্নিঝড় সিডরে দক্ষিনাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর মধ্যে গাছ পালার (নারকেল-সুপারি) ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। আর এ কারনে ফল-ফলাদীর উৎপাদনে এর প্রভাব পড়েছে।
বে-সরকারী হিসাবে দেখা গেছে, সিডরের কারনে বড় বড় গাছ পালা উপড়ে, ডাল ভেঙ্গে চাপা পড়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ সুপারি গাছ বিনষ্ট ও মারা যায়। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ হয় আরো প্রায় ২৫ শতাংশ গাছ। পাইকারী ব্যবসায়ী আঃ হালিম জানান, এ বছর সুপারির বাজার দর অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তাই চাষীরা দাম বেশি পাওয়ায় সকলেই বেশ খুশি।-----সৈয়দ মাহফুজ রহমান(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সাফল্য
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়