Monday, September 2

প্রধানমন্ত্রীকে বরণের অপেক্ষায় রামুবাসী

রামু (কক্সবাজার): মঙ্গলবার রামুতে প্রধানমন্ত্রীর আগমণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার পাশাপাশি  দলীয় প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে এবং প্রধান সড়কসহ বিহার এলাকায় ব্যানার ফেষ্টুন ছেঁয়ে গেছে। সম্প্রীতি ও ঐক্যের মেলবন্ধনে উজ্জীবিত রামুর সকল সম্প্রদায়ের লোকজন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমণ উপলক্ষ্যে রোববার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), গোয়েন্দা, র‌্যাব, বিজিবি সফরস্থল পরিদর্শন করেন এবং হেলিপ্যাড, বৌদ্ধ বিহার এলাকায় ডগ স্কোয়াডসহ অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা  করেন। পাশাপাশি হেলিকপ্টার ও গাড়ি বহর মহড়াও চলে।            
                  
 প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার যোগে রামু এসে পৌঁছবেন। এরপর রামু বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। তারপর রামু মৈত্রী বিহার উদ্বোধনের পর কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে যাবেন। সেখানে সীমা বিহারসহ রামু উপজেলার সাদা চিং, লালচিং বিহার, সাদাচিং বিহার, আর্যবংশ বৌদ্ধ বিহার, অপর্ণা চরণ বৌদ্ধ বিহার, উচাই সেন বিহার, জেতবন বৌদ্ধ বিহার, বন বিহার, অজান্তা বৌদ্ধ বিহার ও বিবেকারাম বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন করবেন তিনি । 
রামু থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে প্রধানমন্ত্রী উখিয়ার ইনানী রেস্ট হাউসে যাবেন। এরপর বেলা আড়ইটার দিকে উখিয়া হাইস্কুল মাঠে জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
সভা মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী উখিয়ার ৭টি বৌদ্ধ বিহারসহ ১৬টি নতুন ভবন ও উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। একই সঙ্গে তিনি ১৮টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। 
মহাজোট সরকারের শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর আগমনকে ঘিরে কক্সবাজারে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে সফরকে সফল করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। মাঠ তৈরীর কাজও শেষ হয়েছে । রামুসহ পুরো জেলা শহরেও  প্রধানমন্ত্রী আগমনে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে দলীয় নেতা কর্মীরা।    
জানা গেছে,  প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে আওয়ামীলীগের মধ্যে দলীয় কোন্দল থাকলেও এসব পেছনে ফেলে সকল নেতা কর্মী কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। রামুতে প্রচারণায় সরব পুরো রাজনীতির ময়দান। ইতিমধ্যে ব্যানার, পোষ্টার ও ফেষ্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো রামুর  জনপদ। প্রস্তুতি সভাও মিছিল চলছে নিয়মিত। সাথে বিভিন্ন দাবী নিয়ে প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি সংগঠন স্বাগত মিছিল বের করছে।    
স্থানীয়রা জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমণকে ঘিরে রামুতে মনোনয়ন প্রত্যাশিরাও নিজস্ব আঙ্গিকে প্রচারণার কাজ চালিয় যাচ্ছে হরদম। ওই দিন নিজস্ব লোকবল নিয়ে এক প্রকার শো-ডাউনের প্রস্তুতিও নিয়েছে তারা। সবার টার্গেট তাদের নেত্রীকে খুশি করে রামু কক্সবাজার সদর আসনটি নৌকার টিকিট নিশ্চিত করা। এদিকে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে রামুতে হেলিপ্যাড ও রেষ্ট হাউস তৈরী কাজ সম্পন্ন করেছে এবং বৌদ্ধ বিহার গুলো নবরূপে সজ্জিত করনসহ নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সড়ক ও জনপদ বিভাগ, এলজিইডি’র অধীনে প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করেছে এবং লোডশেডিং মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।     
রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে রামুবাসীর পক্ষে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রামু উপজেলা ও ১১টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী রামুতে আগমণে ব্যস্ত সময় পার করছে এবং সবার মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।      
 রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মন্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমণে দলীয় নেতাকর্মীসহ সকল সম্প্রদায়ের মাঝে রামুতে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
রামু থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, রামুতে প্রধানমন্ত্রীর আগমণে প্রয়োজনীয় আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।   ---ডিনিউজ      

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়