Friday, August 23

চূড়ান্ত হচ্ছে ৩০০ আসনে বিএনপির প্রার্থী

ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা বললেও জোরেসোরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। পবিত্র রমজান মাসকে সাংগঠনিক মাস হিসেবে ইফতার মাহফিল ও আলোচনার মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াতে সক্ষম হলেও দলীয় কোন্দল মেটাতে ব্যর্থ হয় দলটি। -ঢাকাটাইমস
ঢাকাটাইমস
ঢাকাটাইমস
ঢাকাটাইমস


বিএনপি চেয়ারপারসনের ৬৯তম জন্মদিনে চট্টগ্রাম এবং গোপালগঞ্জে দুই গ্রুপের মধ্যে সহিসংতা তারই দৃষ্টান্ত।এরই মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার বাইরে ৬টি সমাবেশ করবেন বলে দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব সমাবেশ থেকে সংশ্লিষ্ট আসনের দলীয় প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকাটাইমস


এর আগেও খালেদা জিয়া ঢাকার বাইরের সমাবেশগুলোতে গিয়ে বেশ কয়েকজনকে তার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নতুন ধারার রাজনীতির যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের মাধ্যমে এ ধারার প্রকাশ ঘটাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আর এজন্য সিনিয়র নেতাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৫৬টি গ্রুপ। এ গ্রুপের নেতারা ৭৫টি সাংগঠনিক জেলা সফর করবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ টিমের একাধিক দলনেতা জানিয়েছেন, এ সফরের মাধ্যমে সার্বিক চিত্র তুলে এনে বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পেশ করা হবে। দলীয় কোন্দল নিরসন, আসন ভিত্তিক  কোন নেতার কেমন গ্রহণযোগ্যতা সেটা যাচাই করা হবে এবং সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া সংশ্লিষ্টদের গ্রিন সিগনাল দেবেন। বিএনপির প্রার্থীদের নিয়ে যেন কোনো প্রকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে না হয় সেজন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গত ১৯ আগস্ট রাতে ৫৬ গ্রুপের দলনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সাংগঠনিক সফরের বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, দল ও জোটকে শক্তিশালী করতে এ সাংগঠনিক সফর। সফর সফল করতে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘সুবিধা মতো সময়ে সফর শুরু হবে। তবে ৩১ আগস্টের মধ্যেই আমাদের সাংগঠনিক সফর শেষ করতে হবে।’

কবে নাগাদ সাংগঠনিক সফরের রিপোর্ট পেশ করতে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’ ৫৬ গ্রুপের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা মহানগর, স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার দিনাজপুর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ রংপুর, নজরুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী জেলা ও মহানগর, তরিকুল ইসলাম যশোর, মির্জা আব্বাস বরিশাল মহানগর ও বরিশাল উত্তর, ময়নমসিংহ উত্তর ও দক্ষিণে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নারায়ণগঞ্জে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাদারীপুর ও শরিয়তপুর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সিলেট জেলা ও মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণে এমকে আনোয়ার, ড. আব্দুল মঈন খান ফরিদপুর, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা কিশোরগঞ্জ ও ঝিনাইদহ, বেগম সেলিমা রহমান নেত্রকোনা, আব্দুল্লাহ আল নোমান ঢাকা জেলা, নোয়াখালী ও নরসিংদী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ রাজবাড়ী, শমসের মবিন চৌধুরী হবিগঞ্জ, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন কুমিল্লা
দক্ষিণ, এম মোর্শেদ খান কক্সবাজার, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ভোলা, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ পিরোজপুর, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান নড়াইল, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন বরগুনা, ড. ওসমান ফারুক টাঙ্গাইল, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী ফেনী, মুশফিকুর রহমান লহ্মীপুর, আব্দুল আউয়াল মিন্টু রাঙামাটি, ইকবাল হাসান মাহামুদ টুকু বগুড়া ও পাবনা, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শামসুজ্জামান দুদু মেহেরপুর, ফজলুর রহমান পটল সৈয়দপুর, যুগ্মমহাসচিব আমান উল্লাহ আমান মাগুরা ও বরিশাল দক্ষিণ, মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী জেলা ও মহানগর, মো. শাহজাহান মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ, বরকত উল্লাহ বুলু কুমিল্লা উত্তর, সালাহ উদ্দিন আহমেদ চাঁদপুর, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার বান্দরবান, আসাদুল হাবিব দুলু কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা, মশিউর রহমান কুষ্টিয়া, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার ঝালকাঠি ও পটুয়াখালী, ফজলুল হক মিলন শেরপুর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন সাতক্ষীরা, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক জামালপুর, এছাড়া কাজী আসাদুজ্জামান গোপালগঞ্জ, আবুল খায়ের ভূইয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল খাগড়াছড়ি, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী লালমনিরহাট, অ্যাডভোকেট হারুন আল রশিদ জয়পুরহাট, মো. হারুন অর রশিদ নওগাঁ, নিতাই রায় চৌধুরী চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট এবং সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নাটোর জেলার দলনেতার দায়িত্বে রয়েছেন বলে বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড আগামী নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়