Thursday, August 22

কানাইঘাটে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ॥ আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 কানাইঘাটের সড়কের বাজারে গত বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিদেশে ফেরত এক যুবকের টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে দিঘীরপার ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও একই পরিষদের ইউপি সদস্য নাজমুল ইসলাম সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত কানাইঘাট থানা পুলিশ ও সিলেট থেকে  অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত এবং বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দিঘীরপার ইউপির  ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লন্তিরমাটি গ্রামের আবুল হোসেন কয়েকমাস পূর্বে তার এক আত্মীয় শাহপুর গ্রামের তফাই নামের এক যুবককে দুবাইতে পাঠান। সে কয়েক মাস দুবাই থেকে রোজার পূর্বে দেশে ফেরত এসে কাজ না পাওয়ার অজুহাতে আবুল হোসেনের কাছে বিদেশ বাবত যাবার টাকা ফেরত চায়। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশে তফাইকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য আবুল হোসেনকে বলা হলে তিনি ৩৯ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকী টাকার ১৫ হাজারের এক কিস্তি দিতে দেরি হওয়ায় তফাই ও তার আত্মীয় গিয়াস উদ্দিন ইউপি সদস্যের মোটর সাইকেলটি সড়কের বাজার থেকে সপ্তাহ খানেক পূর্বে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবুল হোসেন থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করলে মোটর সাইকেলটি ফেরত দেওয়া হয়। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরীর সাথে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের পক্ষে দর্পনগরসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন ও নাজমুল ইসলামের পক্ষে শাহপুর গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের ১০জন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দ্রুত কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে।  এ নিয়ে  এলাকায় চেয়ারম্যান ও ইউপি সমর্থক গ্রামবাসীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করায় এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সড়কের বাজার হারিছ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে উভয় পক্ষের নিয়ে সিলেট উত্তর সার্কেলের এএসপি মুহি উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সোহরাব হোসেন ছাড়াও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাব্বির আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার ফয়জুল ইসলাম, ডাঃ ফয়েজ আহমদ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী ও উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। সভায় উভয় পক্ষ সামাজিক সালিশে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে শেষ করতে রাজী হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে দিয়ে একটি সালিশ কমিটি এবং দোকান পাটের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান  মাষ্টার ফয়জুল ইসলাম ও ডাঃ ফয়েজ আহমদকে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়