মহম্মদপুর (মাগুরা) : দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে মাগুরার মহম্মদপুরবাসীর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে চলেছে। স্থানীয় মধুমতি নদীতে ব্রীজ নির্মাণের বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ইতোমধ্যে ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে।
এলাকাবাসীর দাবির মুখে ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে ঢাকাসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে মধুমতির এপারের অর্থাৎ মহম্মদপুর, শালিখা, লোহাগড়া, মাগুরা, নড়াইলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর দূরত্ব কমানোসহ সেসব অঞ্চলে সহজেই যাতায়াত ও পণ্য পরিবহণ সহজতর করতে মধুমতি নদীর এলাংখালী ঘাটে ফেরি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। মধুমতি নদীর দুই পারের বিশাল জনগোষ্ঠীর সড়ক যোগাযোগ সহজিকরণের পাশাপাশি দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে নিবিড় সেতু বন্ধন স্থাপণে বাস্তবমুখি উদ্যোগটি প্রশংসিত হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে কাঠের তৈরি পল্টুন ও কৃত্রিম সংযোগ সড়ক সেতু এবং সড়ক স্থাপণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন বিভাগের দেয়া ফেরি চালু করা হয়। এতে ব্যাপক সাড়া পড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন পারাপার হতে থাকে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণ ও নদীর পানি বৃদ্ধিও ফলে কৃত্রিম পল্টুন ডুবে যায় এবং তীব্র স্রোতে সংযোগ সড়কও নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে বন্ধ হয়ে যায় মহম্মদপুরবাসীর স্বপ্নের ফেরি সার্ভিস। স্থায়ী সংযোগ সড়ক ও লোহার পল্টুনের অভাবে নতুন করে ফেরি সার্ভিস চালুর প্রক্রিয়া মুখ থবড়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ওই সময় লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০২ সালে এলাংখালী ঘাটে লোহার পল্টুন সরবরাহ করা হলেও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় নতুন করে ফেরি সার্ভিস চালু করা সম্ভব হয়নি।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুরোর মানুষের স্বাভাবিকভাবে ঢাকায় যেতে সময় লাগে ৫-৬ ঘঁন্টা। মধুমতির এলাংখালী ঘাটের ফেরি সার্ভিস চালু থাকলে সময় ও অর্থ সাশ্রয়সহ রাজধানী পৌছতে সময় লাগতো মাত্র ৩-৪ ঘঁন্টা। এছাড়া ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশালসহ উত্তর- পূর্বাঞ্চলের জেলাগুরোর সাথে সড়ক যোগাযোগ সহজতর হতো। সেইসাথে মধুমতির দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে সৃস্টি হতো অন্যরকম সেতুবন্ধন।
এরপর থেকে উপজেলাবাসী মধুমতির এলাংখালীতে ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সাংসদ বিষয়টি সংসদে উত্থাপনও করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময়ে স্বপ্নের ব্রীজ নির্মাণের বিষয়টি উপজেলায় আলোচিত হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। অবশেষে সব অপেক্ষা ও হতাশার অবসান হতে চলেছে। ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর-উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মহম্মদপুরের মধুমতি নদীতে ৬০০.৭০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের জন্য (প্যাকেজ নং-এলবিসি/মাগুরা/০২) ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাঁজার ৭শ’ ৫৯ টাকার প্রাক্কলন বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১১ জুন) এলজিইডি/ পিডি/এলবিসি/কে (মাগুরা)১৫/২০১২/৯৯০ স্মারকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক জাফরুল হাসান স্বাক্ষরিক এক পত্রে ওই বরাদ্দ অনুমোদনের তথ্য জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে অনুমোদিত পত্র মাগুরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর প্রেরণও করা হয়েছে।
এদিকে এ খবর মহম্মদপুরে ছড়িয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে আনন্দধারা।
মহম্মদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। খুবই শিঘ্রই টেন্ডার হবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাগুরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, অধিদফতরের চিঠি আমরা পেয়েছি।
মাগুরা-২ আসনের সংসস সদস্য অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার বলেন, এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলাম-মধুমতিতে ব্রীজ নির্মাণের ব্যবস্থা করবো। দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রথম সংসদ অধিবেশনে মধুমতির এলাংখালীতে ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে কথা বলেছি। এটা দীর্ঘ ৪ বছরের পরিশ্রমের প্রতিফলন। তিনি বলেন, ব্রীজ নির্মাণে মোট ব্যয় হবে প্রায় একশ’ কোটি টাকা। সীমিত অর্থের কারণে প্রথম ধাপে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই টেন্ডার আহ্বানের পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হতে পারে।(ডিনিউজ)
এলাকাবাসীর দাবির মুখে ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে ঢাকাসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে মধুমতির এপারের অর্থাৎ মহম্মদপুর, শালিখা, লোহাগড়া, মাগুরা, নড়াইলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর দূরত্ব কমানোসহ সেসব অঞ্চলে সহজেই যাতায়াত ও পণ্য পরিবহণ সহজতর করতে মধুমতি নদীর এলাংখালী ঘাটে ফেরি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। মধুমতি নদীর দুই পারের বিশাল জনগোষ্ঠীর সড়ক যোগাযোগ সহজিকরণের পাশাপাশি দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে নিবিড় সেতু বন্ধন স্থাপণে বাস্তবমুখি উদ্যোগটি প্রশংসিত হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে কাঠের তৈরি পল্টুন ও কৃত্রিম সংযোগ সড়ক সেতু এবং সড়ক স্থাপণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন বিভাগের দেয়া ফেরি চালু করা হয়। এতে ব্যাপক সাড়া পড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন পারাপার হতে থাকে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণ ও নদীর পানি বৃদ্ধিও ফলে কৃত্রিম পল্টুন ডুবে যায় এবং তীব্র স্রোতে সংযোগ সড়কও নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে বন্ধ হয়ে যায় মহম্মদপুরবাসীর স্বপ্নের ফেরি সার্ভিস। স্থায়ী সংযোগ সড়ক ও লোহার পল্টুনের অভাবে নতুন করে ফেরি সার্ভিস চালুর প্রক্রিয়া মুখ থবড়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ওই সময় লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০২ সালে এলাংখালী ঘাটে লোহার পল্টুন সরবরাহ করা হলেও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় নতুন করে ফেরি সার্ভিস চালু করা সম্ভব হয়নি।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুরোর মানুষের স্বাভাবিকভাবে ঢাকায় যেতে সময় লাগে ৫-৬ ঘঁন্টা। মধুমতির এলাংখালী ঘাটের ফেরি সার্ভিস চালু থাকলে সময় ও অর্থ সাশ্রয়সহ রাজধানী পৌছতে সময় লাগতো মাত্র ৩-৪ ঘঁন্টা। এছাড়া ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশালসহ উত্তর- পূর্বাঞ্চলের জেলাগুরোর সাথে সড়ক যোগাযোগ সহজতর হতো। সেইসাথে মধুমতির দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে সৃস্টি হতো অন্যরকম সেতুবন্ধন।
এরপর থেকে উপজেলাবাসী মধুমতির এলাংখালীতে ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সাংসদ বিষয়টি সংসদে উত্থাপনও করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময়ে স্বপ্নের ব্রীজ নির্মাণের বিষয়টি উপজেলায় আলোচিত হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। অবশেষে সব অপেক্ষা ও হতাশার অবসান হতে চলেছে। ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর-উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মহম্মদপুরের মধুমতি নদীতে ৬০০.৭০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের জন্য (প্যাকেজ নং-এলবিসি/মাগুরা/০২) ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাঁজার ৭শ’ ৫৯ টাকার প্রাক্কলন বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১১ জুন) এলজিইডি/ পিডি/এলবিসি/কে (মাগুরা)১৫/২০১২/৯৯০ স্মারকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক জাফরুল হাসান স্বাক্ষরিক এক পত্রে ওই বরাদ্দ অনুমোদনের তথ্য জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে অনুমোদিত পত্র মাগুরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর প্রেরণও করা হয়েছে।
এদিকে এ খবর মহম্মদপুরে ছড়িয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে আনন্দধারা।
মহম্মদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। খুবই শিঘ্রই টেন্ডার হবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাগুরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, অধিদফতরের চিঠি আমরা পেয়েছি।
মাগুরা-২ আসনের সংসস সদস্য অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার বলেন, এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলাম-মধুমতিতে ব্রীজ নির্মাণের ব্যবস্থা করবো। দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রথম সংসদ অধিবেশনে মধুমতির এলাংখালীতে ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে কথা বলেছি। এটা দীর্ঘ ৪ বছরের পরিশ্রমের প্রতিফলন। তিনি বলেন, ব্রীজ নির্মাণে মোট ব্যয় হবে প্রায় একশ’ কোটি টাকা। সীমিত অর্থের কারণে প্রথম ধাপে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই টেন্ডার আহ্বানের পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হতে পারে।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়