মিরসরাই (চট্টগ্রাম): মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কটি সংস্কারের অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কার করা হলে মিরসরাইয়ের সাথে ফটিকছড়ি উপজেলার যোগাযোগ যেমন সহজ হতো তেমনি দুই উপজেলার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটতো। এই সড়ককে ঘিরে হাজার হাজার মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেত। সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দীর্ঘ পথ মানুষকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, মিরসরাই থেকে ফটিকছড়ি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারের পাহাড়ি সড়কটি দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ সহজ করতে নির্মাণ করা হয়েছিল। সড়ক নির্মানের পর ওই সড়ক দিয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ফলমূল, শাক-সবজি, কাঠ, বাঁশ, ধান ফটিকছড়ি থেকে মিরসরাইয়ে স্বল্পমূল্যে নিয়ে আসতেন। ফটিকছড়িতেও নিয়ে যাওয়া হতো মালামাল।
মানুষ ফটিকছড়ি কিংবা মিরসরাই যাতায়াতের জন্য করেরহাট ও চট্টগ্রাম শহর দিয়ে না ঘুরে সহজে এই সড়ক ব্যবহার করত। কিন্তু গত বছর বর্ষা মৌসুমে মিরসরাই সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দোচাইল্ল্যা নামক স্থানে বিশাল ওই পাহাড়টির অর্ধেক অংশ ধসে মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কের উপর আছড়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে বুঝাই কষ্ট হয়েছে এটি সড়ক ও জনপথের একটি রাস্তা। দেখে মনে হয়েছে এটি গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া একটি গ্রাম্য সড়ক। মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কের যে অংশে পাহাড় ধসে পড়েছিল সে অংশটি দায়সারাভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিছু মাটি সরিয়ে দিয়েছে বলে লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় লোকজনও স্বীকার করেছে মাটি ধ্বসের পর সড়ক ও জনপথের লোকজন এসে কিছু মাটি সরিয়ে দিয়েছিল। স্থানীয়রা বলছে চলতি বর্ষা মৌসুমে ওই মাটিগুলো আবার ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাহাব উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন সড়কটির অবস্থা দেখতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন কর্মকর্তা আসেননি। ওই সড়ক দিয়ে মিরসরাই সদর থেকে ৮ বছরের নাতিকে নিয়ে পায়ে হেঁটে ফটিকছড়ি মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন সামছুল আলম (৬৫)। তিনি বলেন, বারইয়ারহাট দিয়ে যেতে প্রায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হবে। যানবাহনের ঝামেলাতো রয়েছেই। মিরসরাই ফটিকছড়ি সড়ক দিয়ে হেঁটে গেলে কিছুটা সহজে যাওয়া যাবে। তাই নাতিকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। তিনি সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি করেন।
চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়–য়া জানান, মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন সড়ক। এক সময় জেলা মহাসড়ক প্রকল্পের অধীনে সড়কটির কাজ চলছিল। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার আগে প্রকল্পটি শেষ হয়ে যায়। অন্য একটি প্রকল্পের আওতায় সড়কটির বাকি কাজ করার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুৃহম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, সড়কটি চালু করা হলে দুই উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে। সড়কটিতে সংস্কার কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে চিঠিও দেয়া হয়েছে।(ডিনিউজ)
জানা গেছে, মিরসরাই থেকে ফটিকছড়ি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারের পাহাড়ি সড়কটি দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ সহজ করতে নির্মাণ করা হয়েছিল। সড়ক নির্মানের পর ওই সড়ক দিয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ফলমূল, শাক-সবজি, কাঠ, বাঁশ, ধান ফটিকছড়ি থেকে মিরসরাইয়ে স্বল্পমূল্যে নিয়ে আসতেন। ফটিকছড়িতেও নিয়ে যাওয়া হতো মালামাল।
মানুষ ফটিকছড়ি কিংবা মিরসরাই যাতায়াতের জন্য করেরহাট ও চট্টগ্রাম শহর দিয়ে না ঘুরে সহজে এই সড়ক ব্যবহার করত। কিন্তু গত বছর বর্ষা মৌসুমে মিরসরাই সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দোচাইল্ল্যা নামক স্থানে বিশাল ওই পাহাড়টির অর্ধেক অংশ ধসে মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কের উপর আছড়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে বুঝাই কষ্ট হয়েছে এটি সড়ক ও জনপথের একটি রাস্তা। দেখে মনে হয়েছে এটি গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া একটি গ্রাম্য সড়ক। মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কের যে অংশে পাহাড় ধসে পড়েছিল সে অংশটি দায়সারাভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিছু মাটি সরিয়ে দিয়েছে বলে লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় লোকজনও স্বীকার করেছে মাটি ধ্বসের পর সড়ক ও জনপথের লোকজন এসে কিছু মাটি সরিয়ে দিয়েছিল। স্থানীয়রা বলছে চলতি বর্ষা মৌসুমে ওই মাটিগুলো আবার ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাহাব উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন সড়কটির অবস্থা দেখতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন কর্মকর্তা আসেননি। ওই সড়ক দিয়ে মিরসরাই সদর থেকে ৮ বছরের নাতিকে নিয়ে পায়ে হেঁটে ফটিকছড়ি মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন সামছুল আলম (৬৫)। তিনি বলেন, বারইয়ারহাট দিয়ে যেতে প্রায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হবে। যানবাহনের ঝামেলাতো রয়েছেই। মিরসরাই ফটিকছড়ি সড়ক দিয়ে হেঁটে গেলে কিছুটা সহজে যাওয়া যাবে। তাই নাতিকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। তিনি সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি করেন।
চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়–য়া জানান, মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন সড়ক। এক সময় জেলা মহাসড়ক প্রকল্পের অধীনে সড়কটির কাজ চলছিল। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার আগে প্রকল্পটি শেষ হয়ে যায়। অন্য একটি প্রকল্পের আওতায় সড়কটির বাকি কাজ করার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুৃহম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, সড়কটি চালু করা হলে দুই উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে। সড়কটিতে সংস্কার কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে চিঠিও দেয়া হয়েছে।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়