Tuesday, June 11

প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে বার্তা যাবে মোবাইলে

বিশেষ সংবাদদাতা : দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভয়েস কল মুঠোফোনে প্রচার করা হবে। পল্লী অঞ্চলে ছয় কোটি মানুষের মুঠোফোনে ভয়েস কলটি পাঠানো হবে। আজ মঙ্গলবার থেকে এটি প্রচার করা হবে। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির, স্বাস্থ্য সচিব এমএম নিয়াজউদ্দিন ও কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের পরিচালক মাগদুবা নারগিস।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেলিটকের একটি নম্বর থেকে সবধরনের মুঠোফোনে এ কলটি প্রচার করা হবে। প্রতিদিন ২০ লাখ মানুষের কাছে এ কল যাবে। 
যে নম্বর থেকে ফোন করা হবে, তা হলো ০১৫১২৩৪৫৬৭৮। বিষয়টি তদারক করবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি।
ভয়েস কলে প্রধানমন্ত্রী বলবেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। আমি শেখ হাসিনা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত। আপনাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টার করে দিয়েছি। আপনাদের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিচ্ছি। আপনারা এই কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারে আসুন। চিকিৎসাসেবা নিন। মা, শিশু ও পরিবারের সকলে মিলে আপনারা এই চিকিৎসাসেবা নেবেন। আপনারা সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন সেটাই আমাদের কামনা। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টার আপনাদের সেবায়  নিয়োজিত।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্যই সরকারের এ উদ্যোগ।
প্রকল্প পরিচালক মাখদুমা নারগিস জানান, কেউ ফোন না ধরলে পর পর তিনবার কলটি করা হবে। প্রতি কলে সরকারের খরচ হবে ৩৬ পয়সা।দেশে বর্তমানে ১২ হাজার ২৪৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অন্তত ১৬ কোটি বার এসব ক্লিনিক থেকে সেবা নিয়েছেন রোগীরা।  
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা 
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা  নিবেদন করেছেন। 
আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে  টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর   সমাধিসৌধের বেদিতে  ফুল দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী ফুল দেয়ার পর কবরের বেদির পাশে  কিছুক্ষণ  নীরবে  দাঁড়িয়ে থাকার পর পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।  
রাষ্ট্রীয় এসব কর্মসূচি  শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নেন। সকাল থেকে  দুপুর পর্যন্ত  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া  অবস্থান  করে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন। 
এ সময় গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খায়রুল  আলম খান, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি শেখ মোহাম্মদ  আব্দুল্লাহ, প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাড. কাজী  আব্দুর রশিদ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস.এম. মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান,  পুলিশ সুপার মোঃ  মিজানুর রহমান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ  রুহুল  আমীন, ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা চৌধুরী এমদাদুল হক,  মাহাবুব আলী খান, সালাহ উদ্দিন পান্না, এস.এম আক্কাস আলী, সুভাষ চন্দ্র জয়ধর, এস.এম হুমায়ূন কবির, শেখ আব্দুল হালিম, আবুল বশার খায়ের, উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, সোলায়মান  বিশ্বাস, পৌর মেয়র এইচ.এম অহেদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর এসাইনমেন্ট অফিসার রাকিবুল ইসলাম রাকিব, গাজী হাফিজুর রহমান লিকুসহ পদস্থ  সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত  ছিলেন।
 প্রধানমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত এ সফরকে কেন্দ্র করে  নিরাপত্তা বাহিনী  ও গোয়েন্দা  সংস্থা  টুঙ্গিপাড়ায় তিন স্তর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়া  থেকে  ঢাকার উদ্দেশ্যে  রওনা দেন।  (দৈনিক ইনকিলাব)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়